শনিবার সিএবির বার্ষিক সাধারণ সভায় একের পর এক ইস্য়ু নিয়ে উঠল ঝড়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু হওয়া ভিশন ২০২০ শিবির বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠল, তেমনই ইডেনে বিশ্বকাপের পাঁচ ম্যাচ আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিতে বদলের দাবি, গাড়ি এবং খাবারের পিছনে খরচ- সব নিয়েই বেশ সরগরম বল সিএবি বার্ষিক সাধারণ সভা। শনিবার বাইপাসের ধারে এক হোটেলে সিএবি-র সভা বসেছিল।
সৌরভ যখন সিএবি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন তাঁর উদ্যোগে শুরু হয়েছিল ভিশন ২০২০ শিবির। যে প্রকল্পে একটা সময়ে কোচ হিসেবে ছিলেন ওয়াকার ইউনিস, মুথাইয়া মুরলীধরন এবং সৌরভ নিজে। পরে ওয়াকারের জায়গায় পেসারদের কোচিংয়ের দায়িত্বে এসেছিলেন টিএ শেখর। সৌরভের জায়গায় ব্যাটিং কোচ হয়েছিলেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। কিন্তু সেই প্রকল্প এখন বন্ধ।
আরও পড়ুন: এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ হতে পারে- টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অবসরের ইঙ্গিত দিলেন অশ্বিন
কিছু দিন আগেই সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যে, সময়ের অভাবে নাকি এবার আর ভিশন ২০২০ শিবির করা যাবে না। পরে অন্য কোনও নামে প্রকল্প ফেরানো হতে পারে। জানা গিয়েছে, সৌরভের উপস্থিতিতেই সিএবি-র প্রাক্তন যুগ্মসচিব এবং কোষাধ্যক্ষ বিশ্বরূপ দে প্রশ্ন তুলেছিলেন, এই প্রকল্প বন্ধ হওয়া নিয়ে। তবে এর কোনও সদুত্তর বিশ্বরূপ পাননি। পাশাপাশি রাজ্যে তৃণমূল স্তরে ক্রিকেটের উন্নয়নে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাব ডিভিশন ক্রিকেট ফের চালু করারও দাবি তোলেন বিশ্বরূপ।
শনিবারের সভার শুরুতেই প্রাক্তন সচিব বাবলু কোলে প্রশ্ন তোলেন, ২১ দিন আগে এজিএমের নোটিশ পাঠানো হলেও, কেন গঠনতন্ত্র মেনে সদস্যদের কাছে বার্ষিক ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট এবং অ্যানুয়াল রেকর্ড পাঠানো হয়নি।
আরও পড়ুন: রোহিতদের সঙ্গে বৃষ্টি এখন যেন সমার্থক, বাতিল ভারত-ইংল্যান্ড গুয়াহাটির প্রস্তুতি ম্যাচও
এদিকে এজিএমে সিএবি-র তরফে জানানো হয়, গত বছরের আয় থেকে অনুমোদিত সংস্থাগুলিকে ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। তবে প্রশ্ন উঠেছে গাড়ি এবং খাবারের খরচ নিয়ে। দেখা গিয়েছে, গত আর্থিক বর্ষে গাড়ির পিছনে মোট ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করেছে সিএবি-র। খাবারের পিছনে খরচ হয়েছে ৪২ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। গত আর্থিক বর্ষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের থেকে প্রায় ৯৫ কোটি টাকা পেয়েছে সিএবি। যা তার আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বেশি।