ভারতীয় ক্রিকেট দল লিডস টেস্টে ভালোই পারফরমেনস করেছে ব্যাট হাতে। ৪৭১ রান তোলা হেডিংলে টেস্টে নিঃসন্দেহে ভারতীয় টপ অর্ডারের কৃতিত্ব রয়েছে। কিন্তু বোলিং ফিল্ডিংয়ের অবস্থা দেখে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় হাত হওয়ার জোগার। ইংল্যান্ডের মেঘলা পরিবেশে যখন বুমরাহ পরপর উইকেট তুলে নিচ্ছেন তখন তাঁর বোলিংয়েই কিনা তিন তিনবার ক্যাচ মিস করলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। যা একদমই মেনে নেওয়া যায় না। রবীন্দ্র জাদেজা, যশস্বী জসওয়ালের মতো ভালো ফিল্ডাররা যেভাবে ক্যাচ ছাড়লেন, তাতে ম্যাচও হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারত।
ইংল্যান্ডের তিনটি ক্যাচ মিস করেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। এর মধ্যে ওলি পোপের ক্যাচ মিসটি সব থেকে বেশি দামি হয়ে দাঁড়াল। কারণ ক্যাচ মিসের সুযোগে তিনি শতরান করে ফেললেন, যা দেখেই বেজায় বিরক্তি প্রকাশ করলেন ১৯৮৩র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার সুনীল গাভাসকর। সরাসরি ভারতের ফিল্ডিং কোচকেও খোঁচা দিতে ছাড়লেন না সানি।
গাভাসকর বললেন, ‘টি দিলীপ অন্যান্য ম্যাচের পর ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য মেডেল দিয়ে থাকেন। তবে আমার মনে হয়না আর মেডেল দেওয়া হবে। এইরকম ক্যাচ মিস অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং হতাশাজনক। যশস্বী জসওয়াল খুব ভালো ফিল্ডার, কিন্তু এরকম সহজ ক্যাচও ও ধরতে পারল না। ’ ম্যাচে শতরান করা যশস্বী পঞ্চম ওভারে বেন ডাকেটের ক্যাচ মিসের পর ওলি পোপেরও ক্যাচ মিস করেন।
যা দেখে প্রাক্তন ভারতীয় পেসার বরুণ অ্যারণও বলছেন, ‘অনেক সময় এমন সুযোগ মিস করা, ম্যাচও মিস করাতে পারে। জাদ্দুর আগে জয়সওয়াল একটা ক্যাচ মিস করেছে, এই ধরণের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন গ্রিন সহজেই এই ক্যাচগুলো নেয়। জসওয়াল ওই পজিশনে ২টো ক্যাচ মিস করল। একটা আধটা দিন এমন যায়, তখন এরকম মিস হয়ে যায়। শুভমন মিড অফ আর মিড অনে দাঁড়িয়ে আছে। ও কিন্তু ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম সেরা স্লিপের ফিল্ডার। ইংল্যান্ডে ওর ফিল্ডিং কাজে আসবে। হয়ত গম্ভীর ওর সঙ্গে কথা বলে বোঝাবে, যে বোলারদের সঙ্গে তুমি ওভারের মাঝেও কথা বলতে পারো। কিন্তু ওকে স্লিপেই দরকার’।
ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাকও অখুশি ছিলেন ক্যাচ মিসে। তিনি বলেছিলেন, ভারতীয় দলের ফিল্ডাররা ভালোই ফিল্ডিং করে। তবে দ্বিতীয় দিনটা একটু আলাদাই গেছে ভারতীয় দলের জন্য। একটা আধটা দিন এমন যায়।