রঞ্জি ট্রফি সবে শুরু হয়েছে। এর মাঝেই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বয়স ভাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে ওড়িশার ক্রিকেটার সুমিত শর্মার বিরুদ্ধে। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে বিসিসিআই। তাঁকে দু'বছরের জন্য নির্বাসিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
রঞ্জির প্রথম ম্যাচ খেলতে গোটা দলের সঙ্গে বরোদা চলে গিয়েছিলেন সুমিত শর্মা। নতুন লক্ষ্য নিয়ে জোরকদমে প্রস্তুতিও চালাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু খেলতে নামার ঠিক আগেই দুঃসংবাদ পান তিনি। বোর্ডের তরফে তাঁকে নির্বাসনের চিঠি পাঠানো হয়। দু’বছরের জন্য ওড়িশার ক্রিকেটার সুমিত শর্মাকে নির্বাসিত করেছে বিসিসিআই। তাঁর বিরুদ্ধে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির চিঠি শুক্রবারই পৌঁছে গিয়েছে এই ক্রিকেটারের কাছে। ফলে তিনি রঞ্জি খেলতে নামতে পারেননি।
বোর্ডের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নথিপত্র জাল করে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিপক্ষে। সেই অভিযোগের জেরেই শাস্তি পেতে হয়েছে সুমিত শর্মাকে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২০১৫-১৬ সালে জুনিয়র ক্রিকেট খেলার সময় তিনি জন্মের যে শংসাপত্র দিয়েছিলেন তার সঙ্গে এখনকার শংসাপত্র মিলছে না। তার পরেই একাধিক অভিযোগ ওঠায় বোর্ডের তরফে নেওয়া হয় বিশাল বড় পদক্ষেপ। তদন্ত করার পর দেওয়া হয় কড়া শাস্তি। ওড়িশা রাজ্য সংস্থার তরফে সুমিতের বদলে তারিনি শা-কে পরিবর্ত হিসেবে বরোদায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচে তিনি প্রথম একাদশে জায়গা পাননি।
আরও পড়ুন: বিদেশি ক্রিকেটাররা ভারতে এলে যেন আর অভিযোগ না করেন- পিচ নিয়ে কড়া দাওয়াই ইরফানের
কটকে জন্ম সুমিত শর্মার। বাঁ হাতি স্পিনার তিনি। সেই সঙ্গে ব্যাটার হিসেবেও বেশ নির্ভরযোগ্য। ২৭ বছরের তারকা অলরাউন্ডারকে না পাওয়া যাওয়ায়, বেশ সমস্যাতেই পড়ে গিয়েছে ওড়িশা। ওড়িশা সংস্থার সচিব সঞ্জয় বেহরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ওড়িশা সিনিয়র দলের ক্রিকেটার সুমিতকে আগামী দু’বছরের জন্য ঘরোয়া প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসিত করা হচ্ছে। তাঁর জন্মের শংসাপত্রে বৈষম্য ধরা পড়েছে। অর্থাৎ কোনও একটি ক্ষেত্রে বয়স ভাঁড়িয়েছেন ওই ক্রিকেটার।
রঞ্জিতে ওড়িশা প্ৰথম ম্যাচ খেলেছে বরোদার বিপক্ষে। টস জিতে বরোদাকে ব্যাট করতে পাঠায় ওড়িশা। প্ৰথম ইনিংসে বরোদা ৩৫১ রান করে। বরোদার মিতেশ প্যাটেল সাতে নেমে সেঞ্চুরি হাঁকান। ১৫১ বলে ১১৬ রান করেন তিনি। জোৎস্নীল সিং ৭৩ রান করেন। ৫৭ করেন অতীত শেঠ। জবাবে ব্যাট করতে নামলে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওড়িশা। ১৭৮ রানেই অলআউট হয়ে যায় ওড়িশা। সর্বোচ্চ ৬৮ করে গোবিন্দ পোদ্দার। ৪৫ করেন দলের অধিনায়ক শান্তনু মিশ্র। এছাড়া ২৭ করেছেন সূর্যকান্ত প্রধান। বাকিরা কেউ এক অঙ্কের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ওড়িশা ১ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান করেছে। এই মুহূর্তে ওড়িশার চেয়ে ২১৬ রানে এগিয়ে রয়েছে বরোদা।