গাব্বায় তৃতীয় টেস্টের শেষে সকলকে অবাক করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি ভারতের হয়ে ১০৬টি টেস্ট ম্যাচে ৫৩৭টি উইকেট নিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক হিসেবে ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন অশ্বিন, সামগ্রিক পরিসংখ্যানে কিংবদন্তি অনিল কুম্বলের (৬১৯ উইকেট) পরেই রয়েছে তাঁর নাম। অবসর ঘোষণার ঠিক পরের দিনই দেশে ফিরে এসেছেন অশ্বিন। এরপরেই একবারও ভারতীয় দলের অধিনায়ক নির্বাচিত না হওয়া নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
২০১১ সালে অশ্বিনের টেস্ট অভিষেক হওয়ার পর থেকে, ছয়জন ভিন্ন খেলোয়াড়- এমএস ধোনি, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল এবং জসপ্রীত বুমরাহ - এই ফরম্যাটে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাদা বলের ফরম্যাটে তালিকাটা আরও বড়। তবে অশ্বিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে এই বিষয়ে তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। যোগ করেছেন, তিনি অধিনায়কত্বের চাপ সামলাতে ‘কখনই প্রস্তুত ছিলেন না’।
এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় অশ্বিন বলেন, ‘আমি আর অধিনায়ক হতে পারব না। ভারতীয় দলের অধিনায়ক না হওয়ার বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই। অনেককে দেখেছি আফসোস নিয়ে সরে যেতে। আমি এমন দায়িত্বের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কোনও আফসোস নেই আমার।’ তিনি নিজের অবসর গ্রহণের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘুমানোর আগে আমি মনে করতাম কত রান করেছি এবং কটা উইকেট নিয়েছি। কিন্তু গত দুই বছরে কিছুই আসেনি। এটি একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল যে আমার এবার পথ পরিবর্তন করার সময় এসেছে। সেই মতো আমি শুধু অন্য পথ ধরেছি।’
অশ্বিন বৃহস্পতিবার সকালে চেন্নাইয়ের মাদ্রাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। ৩৮ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার বিমানবন্দরে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেননি। সোজা তিনি তাঁর গাড়িতে উঠে গিয়ে ছিলেন, যেখানে তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যা অপেক্ষা করছিলেন।
বাড়িতে পৌঁছানোর পর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন। অশ্বিন বলেছিলেন, ‘এটা অনেক লোকের জন্য আবেগঘন মুহূর্ত, এবং হতে পারে এটি (কিছু সময়ের মধ্যে) কেটে যাবে। কিন্তু আমার জন্য, ব্যক্তিগতভাবে, এটি স্বস্তি এবং সন্তুষ্টির একটি দুর্দান্ত অনুভূতি। সিদ্ধান্তটা খুব স্বাভাবিক ছিল এবং এটি বেশ কিছুদিন ধরে আমার মাথায় চলছিল। আমি চতুর্থ দিনে বিষয়টি অনুভব করেছি এবং জানিয়ে দিয়েছি।’