আইপিএল নিলামে অবিক্রিত ছিলেন। পরিচিত ছন্দে ছিলেন না বলেই কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসেবেও সদ্য সমাপ্ত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে দলে নেয়নি পথ্বী শ-কে। আইপিএল শেষ হওয়ার পরে মুম্বই টি-২০ লিগে মাঠে নামছেন পৃথ্বী। যদিও টুর্নামেন্টের প্রথম ২ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি। শেষমেশ তৃতীয় ম্যাচে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন পৃথ্বী।
পৃথ্বী শ চলতি টি-২০ মুম্বইয়ে নর্থ মুম্বই প্যান্থরসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি বান্দ্রা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪ বলে ৫ রান করে আউট হন। তাঁর দল ম্যাচ হারে ৪০ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে পৃথ্বী মুম্বই ফ্যালকনসের বিরুদ্ধে ১১ বলে ৫ রানের ঠুকঠুকে ইনিংস খেলে আউট হন। তাঁর দল ম্যাচ হারে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
এবার আর্কস আন্ধেরির বিরুদ্ধে লো-স্কোরিং ম্যাচে প্যান্থার্সকে জয় এনে দেন পৃথ্বী শ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে শিবম দুবের নেতৃত্বাধীন আর্কস আন্ধেরি। তারা শুরু থেকে নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে। শেষমেশ ২০ ওভারে ১৩৪ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায় আন্ধেরি।
দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৪ রান করেন মনিল সোনি। যদিও তিনি খরচ করেন ৩০টি বল। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। মুশির খান ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ক্যাপ্টেন শিবম দুবে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২ বলে ৪ রান করে আউট হন।
প্যান্থার্সের হয়ে প্রতীক মিশ্র ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করে ৪টি উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন রাহুল সাওয়ান্ত। আন্ধেরির ৩ জন ব্যাটার রান-আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে প্যান্থার্স ১৯.৫ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে পৃথ্বী শ ২৩ বলে ৩৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ৩১ বলে ৩৬ রান করেন দিব্যাংশ সাক্সেনা। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। আন্ধেরির হয়ে মুশির খান ৪ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন। ১ ওভার বল করে ১ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট নেন শিবম দুবে।