আগামী মাসেই শুরু আইপিএল। সানরাইজার্স হায়দারাবাদের অধিনায়কত্ব করবেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী তারকা প্যাট কামিন্স। চোটের জন্য তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারছেন না। গোড়ালিতে চোট ছিল তাঁর। বর্ডার গাভাসকর ট্রফির পরই সেই চোটের জন্য সপ্তাহখানের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান তিনি। সেই কামিন্সই সংবাদসংস্থা ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন আবারও পুরোদমে বোলিং করার জন্য তৈরি হচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন-FIH Pro League-এ চমক ভারতের! প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনাজয়ী নেদারল্যান্ডসকে হারাল দীপিকারা
আইপিএলের আগেই ফিট হবেন কামিন্স-
সেই সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলেছেন, ‘গোড়ালি এখন আগের থেকে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। অনেকটা বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে, তাই আসতে আসতে জায়গাটা ঠিক হয়ে যাচ্ছে। টানা খেলতে হলে বিশ্রামটা পাওয়া যায় না। আশা করছি কয়েক সপ্তাহ বোলিং করার পর আইপিএলেই ফিরতে পারব। আশা করছি তারপর আর চিন্তা করতে হবে না গোড়ালির চোট নিয়ে ’।
গোড়ালিতে অস্ত্রোপচার করবেন না-
কামিন্স জানিয়েছেন, ‘আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ওখানে কোনও অস্ত্রোপচার করব না, মাঝে মধ্যে একটু রিহ্যাব করব। ব্যাস ওইটুকুই। যে বিরতি পেলাম, তাতে বিশ্রাম নিয়ে ভালো করে রিহ্যাব করেছি। কখনও কখনও একটা দুটো সফর মিস করলে, সারা বছর ধরে বেশি ক্রিকেট খেলা যায়। আগেরকার দিনে সব প্রতিযোগিতার সব ম্যাচেই সবাই খেলত। কিন্তু এখন সব প্লেয়ারই চায় নিজেদের সেরা উচ্চতায় থাকতে। সেই কারণ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলার জন্য তাঁরা নিজেদের প্রস্তুত রাখে। এখনকার ক্রিকেট এরকমই।’। আইপিএলের পর WTC ফাইনালে কামিন্সের দরকার পড়বে অজিদের। সেখানে তিনি দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও টেস্ট সিরিজে খেলতে চান। তবে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাসেজের আগে সাদা বলের ক্রিকেটের বেশ কয়েকটা সিরিজেই নাও খেলতে পারেন তিনি।
অজিদের রিজার্ভ বেঞ্চই ম্যাচ জেতাচ্ছে
কামিন্স, স্টার্ক, হেজেলউডদের অনুস্থিতিতেও অবশ্য পাকিস্তানে গিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া। বেন ডোয়ারসুইস তিন উইকেট নেন, নাথান এলিসও ভালো বোলিং করেন। তাই নিজের অনুপস্থিতিতেও দলের প্রশংসা করে কামিন্স বলেন, ‘নাথান এলিস দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক ক্রিকেটার, ও সব পরিস্থিতিতেই বোলিং করতে পারে। খেলায় প্রভাব ফেলার জন্য ওর নতুন বল দরকার লাগে না, ও মিডল ওভার বা শেষের দিকেও বোলিং করতে পারে। ’।
দঃ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য ভেস্তে গেলেও অজিদের খুব সমস্যা হয়নি, কারণ ইংল্যান্ড ম্যাচটা তারা জিতেছিল। আর সেই ম্যাচে জোস ইংলিস যে অধাধারণ ব্যাটিং করেছেন, তাতে মুগ্ধ সকলে। কামিন্স বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ও প্রায় সব সফরেই যায়, কিন্তু সেভাবে সুযোগ পেত না। ওর দক্ষতা আমরা জানতাম। দুটো আলাদা ফর্ম্যাটে ওর শতরানও রয়েছে গতমাসে। ওকে ব্যাটিং অর্ডারে যেখানে ইচ্ছা খেলানো যায়। ও স্পিনারদের বিরুদ্ধেও ভালো খেলতে পারে। ইনিংস ভালো ফিনিশও করতে পারে ’।
অজি নির্বাচকদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ-
তবে নির্বাচকদের সামনে রয়েছে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ ইংলিস ছাড়াও WTC ফাইনালে দলে আসার দাবিদার ক্যামেরন গ্রিন এবং স্যাম কনস্টাস। আবার ক্যারির মতো ইংলিসও উইকেটকিপিং করতে পারেন। সেই নিয়ে কামিন্স বলছেন, ‘আমার মনে হয় দলে যে কেউ সুযোগ পেতে পারে। আমরা আগে দুজন অলরাউন্ডার নিয়ে খেলেছি। শ্রীলঙ্কায় দুজন উইকেটকিপার ব্যাটার রেখেছি। তাই ভালো খেললে ইংলিস, ক্যারি দুজনেই দলে থাকতে পারে ’।
২০২৭ বিশ্বকাপেই ফোকাস কামিন্সের-
দেশের হয়ে WTC ফাইনাল, ODI বিশ্বকাপ জিতলেও এখনই সাধ মেটেনি কামিন্সের। তিনি পাখির চোখ করছেন আগামী ২০২৭ ওডিআই বিশ্বকাপকে। সেখানেও দলনেতা হিসেবেই দায়িত্ব পালন করতে চান অজি তারকা। তাঁর কথায়, ‘দেখতে দেখতে সময় কেটে গেল, প্রায় অর্ধেক রাস্তা পেরিয়ে গেল। যখন বিশ্বকাপ অনেকটা দূরে থাকে তখন টেস্ট ক্রিকেট আর অন্য প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, কিন্তু বিশ্বকাপ কাছে আসতে শুরু করলে সব ফোকাস সেখানেই থাকে ’।