ভারতে ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে বিস্তর। ক্রিকেটার থেকে বোর্ড সভাপতি হওয়ার নজিরও রয়েছে ভারতে। এবার ক্রিকেট খেলা ছেড়ে ক্রীড়া প্রশাসক হিসেবে নতুন ইনিংস শুরু করেলন টিম ইন্ডিয়ার দুই প্রাক্তন তারকা। মহেন্দ্র সিং ধোনির দুই সতীর্থ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার ভোটে জিতে হয়ে গেলেন সচিব ও যুগ্মসচিব।
২০২৪ সালে পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ঝাড়খণ্ডের দুই ক্রিকেটার সৌরভ তিওয়ারি ও শাহবাজ নদিম এবার জেএসসিএ-র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারই ভোটে জিতে যান। সৌরভ তিওয়ারি ঝাড়খণ্ড স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। নদিম ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার নতুন জয়েন্ট সেক্রেটারি নিযুক্ত হন।
সৌরভ তিওয়ারি ভারতের হয়ে মোট ৩টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন। ২০১০ সালে বিশাখাপত্তনমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর। অন্যদিকে শাহবাজ নদিম ভারতের হয়ে মোট ২টি টেস্টে মাঠে নামেন।
রাজ্যদল ঝাড়খণ্ডে মহেন্দ্র সিং ধোনির সতীর্থ ছিলেন তিওয়ারি ও নদিম। ধোনির শেষ ঘরোয়া ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে নামেন সৌরভ ও নদিমও। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বিজয় হাজারে ট্রফির সেই কোয়ার্টার ফাইনালে ঝাড়খণ্ডের প্রতিপক্ষ ছিল গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন দিল্লি।
সৌরভ তিওয়ারি ও শাহবাজ নদিমের আইপিএল খেলার পর্যাপ্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিওয়ারি চারটি দলের হয়ে মোট ৯৩টি আইপিএল ম্যাচে মাঠে নামেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে থাকার সময় সব থেকে বেশি স্পটলাইট পান সৌরভ। অন্যদিকে নদিম ২টি আইপিএল দলের হয়ে মোট ৭২টি ম্যাচে মাঠে নামেন।
ভোটে কাদের হারালেন সৌরভ-নদিম
ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচনে সৌরভ তিওয়ারি প্রতিপক্ষ এসবি সিংকে ৪৩৮-১৯৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। যুগ্ম সচিব পদে শাহবাজ তাঁর প্রতিপক্ষ রাজ কুমার শর্মাকে ৪০৯-১৯৯ ভোটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেন।
নির্বাচনে জিতে নদিম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘সংস্থার একটা গ্রুপ আমাকে ও সৌরভকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা বলে। ওরা চায় আমরা রাজ্য ক্রিকেটকে সঠিক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই। প্রাথমিকভাবে আমি একটু দ্বিধায় ছিলাম। তবে বিবেচনার পরে আমরা রাজি হয়ে যাই। এই রাজ্য আমাদের ক্রিকেটার বানিয়েছে। দীর্ঘ ২৫ বছর এখানে ক্রিকেট খেলেছি। এবার এই রাজ্য আমাদের ক্রিকেট প্রশাসক হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের মনে হয় যে, নতুন ভূমিকায় রাজ্যের ক্রিকেটে কিছু অবদান রাখতে পারি।’