বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ০ রানে আউট হওয়া আজম খানের বাবা মঈন খান জানাচ্ছেন, ‘আমি পাকিস্তানে বিশ্বকাপ এবং তাঁর আগের সব ম্যাচই দেখেছিলাম আজম খান ছিল দলের উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটিং হিসেবে প্রথম পছন্দ। কিন্তু এক ম্যাচ পরেও দেখলাম পুরো স্ট্র্যাটেজি বদলে গেল, ওকে আর সুযোগ দেওয়া হল না' ।
আজম খান। ছবি - এপি
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিককালে অন্যতম চর্চার বিষয় হচ্ছেন মঈন খানের পুত্র আজম খান। তাঁর ভারি চেহারার জন্য মাঝে মধ্যেই তাঁর ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন উঠে থাকে। অনেক সময়ই তাঁর ফিল্ডিংয়ে অখুশী হন সমর্থকরা। কয়েক সপ্তাহ আগে টি২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিশ্রী পারফরমেন্সের পর আজম খানকে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হয়েছে। অনেকেই দাবি করেছিল, আদতে স্বজনপোষণের জন্যই দলে সুযোগ পেয়েছেন আজম। বাবা মঈন খান নাকি নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে দলে সুযোগ করে দিয়েছেন ছেলে আজমকে, তাই দিনের পর দিন পারফরমেন্স না করেও দলে থেকে যান তিনি।
পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পিসিবির চেয়ারম্যান থাকাকালীন রামিজ রাজাও অতীতে আজম খানের ওপর যথেষ্ট বিরক্ত ছিলেন। এবার ছেলের জন্য এক সময়ের সতীর্থকেই তোপ দাগলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মঈন খান। দাবি করলেন রামিজ রাজা ইচ্ছাকৃতভাবে একটা বাচ্চা ছেলের মন ভেঙে দিয়েছেন। যদিও পরিসংখ্যান বলছেন ১২টি টি২০ ম্যাচে দেশের হয়ে ৮৮ রান করেছেন আজম খান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৩০।
বিশ্বকাপের এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে ০ রানে আউট হওয়া আজম খানের বাবা মঈন খান জানাচ্ছেন, ‘আমি পাকিস্তানে বিশ্বকাপ এবং তাঁর আগের সব ম্যাচই দেখেছিলাম আজম খান ছিল দলের উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটিং হিসেবে প্রথম পছন্দ। কিন্তু এক ম্যাচ পরেও দেখলাম পুরো স্ট্র্যাটেজি বদলে গেল, ওকে আর সুযোগ দেওয়া হল না। এক ম্যাচে রান না পাওয়ার পরই তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হল। অধিনায়ক হোক বা কোচ, কোনও ক্রিকেটারকে নিয়ে যদি এক ম্যাচের ওপর নির্ভর করে এমন সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে ভালো ক্রিকেটার কিভাবে উঠে আসবে? '।
মঈন আরও অভিযোগ করেছেন, ‘২০২২ সালে টি২০ বিশ্বকাপে দলে সুযোগ পেয়েছিল আজম, কিন্তু রামিজ রাজা ওকে বসিয়ে দিয়েছিল। যদি চিফ সিলেক্টর কোনও ভুল করত তাহলে তাঁকে বসানো উচিত ছিল, কিন্তু সেটা করার সাহস দেখায়নি তাঁরা। মাঝখান থেকে একটা তরুণ ক্রিকেটারের মনোবল নষ্ট করেছিল। আমি বলছি না আজমের কোনও অসুবিধা নেই। ওকে নিজের শারীরিক এবং মানসিক জোর বাড়াতে হবে। ফিটনেস রুটিন মেনে চলতে হবে। আমি বিগত কয়েকমাস ধরেই দেখছি ও কঠোর পরিশ্রম করছে’।