তরুণ জয়মিত প্যাটেলই ৮ বছর ফের রঞ্জির ফাইনাল খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে গুজরাটকে। নিজের প্রথম মরশুমেই জয়মিত ব্যাটিং অলরাউন্ডার হিসাবে নিজের আলাদা একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছেন। ২২ বছর বয়সী জয়মিত সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার-ফাইনাল সেঞ্চুরি করেছিলেন। নকআউটে যোগ্যতা অর্জনের জন্য জিততেই হবে এমন ম্যাচে হিমাচলের বিরুদ্ধে জোড়া হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন। শুক্রবার, তিনি কেরলের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসের নির্ণায়ক লিডের জন্য গুজরাটকে ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফের ODI ম্যাচে টসে হারল ভারত, টানা ১১ বার, অবাঞ্ছিত রেকর্ড স্পর্শ, শেষ কবে টস জিতেছিলেন রোহিতরা?
জয়মিত অপরাজিত ৭৪ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন। যার নিটফল, লিড পেতে আর ২৯ রান দরকার গুজরাটের। প্রসঙ্গত, কেরল-গুজরাটের মধ্যে রঞ্জি সেমিফাইনালের চতুর্থ দিনও ম্যাচের প্রথম ইনিংস এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে দুই দলের লড়াইটা ধীরগতির হলেও, বেশ আকর্ষণীয়। কেরল প্রথমে ব্যাট করে পুরো দুই দিন ধরে ধীরেসুস্থে ৪৫৭ রান করে। অভিজ্ঞ প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চালের ১৪৮ রানের দুরন্ত একটি ইনিংসের হাত ধরে গুজরাট পালটা লড়াই শুরু করে। তৃতীয় দিনের শেষের দিকে গুজরাটের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ২২২ রান। কিন্তু চতুর্থ দিনের শুরুর দিকে বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গুজরাট। তবে জয়মিত দায়িত্ব নিয়ে সেই চাপ থেকে গুজরাটকে বের করে আনেন।
একটা সময়ে গুজরাটের স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ৩৫৭ রান। সেই সময়ে তাদের লিডের আশা ছিল নিভুনিভু। কিন্তু জয়মিত এবং সিদ্ধার্থ দেশাই মিলে শেষ সেশনে ব্যাটিং করে ৩৬.৪ ওভারে ৭২ রান করেন। সেই সঙ্গে ২০১৬-১৭ সালের পর গুজরাটের ফের রঞ্জির ফাইনাল খেলার আশা তাঁরা বাঁচিয়ে রাখে। বৃহস্পতিবার সকালে কেরলের জলজ সাক্সেনা চাপে ফেলে দিয়েছিলেন গুজরাটকে। তিনি একাই ৪ উইকেট তুলে নেন। কিন্তু জয়মিতের সৌজন্যে গুজরাট সেই চাপ কাটিয়ে লিড নেওয়ার অপেক্ষায়। তাঁর ৭৪ রানের ইনিংসই টার্নিং পয়েন্ট হয়ে যায়। এদিকে কেরলকে লিড পেতে হলে ২৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিতে হবে। চতুর্থ দিনের শেষে গুজরাটের স্কোর ৭ উইকেটে ৪২৯।
আরও পড়ুন: বাবর আজম আগে না দেশ?… পাক তারকার স্বার্থপরের মতো স্লো ইনিংস খেলা নিয়ে চাঁচাছোলা প্রশ্ন প্রাক্তনীর
জয়মিতের সঙ্গে সিদ্ধার্থ দেশাই ২৪ করে অপরাজিত রয়েছেন। এছাড়া মনন হিংরাজিয়া ৩৩, উর্ভিল প্যাটেল ২৫, হেমাঙ্গ প্যাটেল ২৭ রান করেছেন। বুধবার আরিয়া দেশাই ৭৩ করে আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে পঞ্চম দিন মানসিক ভাবে কিছুটা এগিয়ে থেকেই মাঠ নামবে গুজরাট। তাদের সামনে ২৯ রানের লক্ষ্য। আর কেরলের দরকার ৩ উইকেট।