এমনটা নয় যে, কেকেআরের সামনে প্লে-অফের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বরং এখনও লড়াইয়ে ভালো মতোই টিকে রয়েছে কলকাতা। তবে এটা নিশ্চিত যে, শনিবার ঘরের মাঠে পঞ্জাব কিংসের কাছে পয়েন্ট খুইয়ে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ল নাইট রাইডার্স।
প্লে-অফের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান তুলনায় ভালো করতে হলে ঘরের মাঠে পঞ্জাব ম্যাচ থেকে পুরো পয়েন্ট তুলতে হতো কলকাতাকে। তবে ম্যাচ বৃষ্টির জন্য মাঝপথেই ভেস্তে যায়। ফলে পঞ্জাব ও কলকাতা, উভয় দল ১ পয়েন্ট করে ভাগ করে নেয় নিজেদের মধ্যে।
পয়েন্ট ভাগাভাগির পরে ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্জাব কিংস রয়েছে ৪ নম্বরে। ৯ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে কেকেআর রয়েছে ৭ নম্বরে। ইতিমধ্যেই গুজরাট ও দিল্লি ৮টি করে ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্টে পৌঁছে গিয়েছে। আরসিবি ৯টি ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছে ১২ পয়েন্ট। মুম্বই ও লখনউ ৯টি করে ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করেছে। সুতরাং, লিগ টেবিলের সেরা চারে থেকে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করতে হলে কলকাতাকে অন্তত ৩টি দলকে টপকাতে হবে।
প্লে-অফের দৌড়ে জোরালোভাবে টিকে থাকতে হলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতেই হবে কলকাতাকে। সেক্ষেত্রে বকি ৫টি ম্যাচের মধ্যে ৪টিতে জয় তুলে নিলে কেকেআর ১৫ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। যদি কলকাতা শেষ ৫টি ম্যাচেই জয় পায়, তবে ১৭ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌছতে পারে কেকেআর। অর্থাৎ, অন্তত ৪টি ম্যাচ জিতলেও কলকাতার উপর থেকে চাপ কমবে না বিন্দুমাত্র। অর্থাৎ, কেকেআরের কাছে বাকি টুর্নামেন্ট কার্যত ডু অর ডাই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যেতে পারে।
তবে এমনটা নয় যে, অতীতে ১৬-র কম পয়েন্ট নিয়ে কোনও দল আইপিএলের প্লে-অফে ওঠেনি। গত বছরই আরসিবি ১৪ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান-রেটের নিরিখে আইপিএলের প্লে-অফ খেলে। তবে ১০ দলের টুর্নামেন্টে সেই একবারই ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কোনও দল লিগ টেবিলের প্রথম চারে থাকে।
এবার দিল্লি ও গুজরাট নিজেদের বাকি ৬টি ম্যাচের মধ্যে ২টি করে জিতলেই ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। আরসিবি বাকি ৫ ম্যাচের ২টিতে জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। পঞ্জাব নিজেদের শেষ ৫ ম্যাচের ২টিতে জিতলে ১৫ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে। ১৬ পয়েন্টে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে মুম্বই ও লখনউয়ের সামনেও। সুতরাং, কেকেআর ১৫ পয়েন্টে পৌঁছলেও নিশ্চিন্ত হতে পারবে, এখনই এমনটা বলা যাবে না কোনওভাবেই।