শুভব্রত মুখার্জি: বিশাখাপত্তনমে চলতি আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস দল। সেই ম্যাচেই কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ বিশেষজ্ঞ থেকে আম জনতা সকলেই। ওই ম্যাচে একাধিক কেকেআর ব্যাটারের ব্যাটে রান সুনামির সাক্ষী থেকেছিল দর্শকরা।ওপেনার সুনীল নারিন এক অনবদ্য মারকাটারি ইনিংস খেলে ইনিংসের ছন্দটা তৈরি করে দিয়ে যান।
সেই ইনিংসকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন অংকৃষ রঘুবংশী। এরপর শেষ দিকে আন্দ্রে রাসেল এবং রিঙ্কু সিং ঝড়ে কেকেআরের রান সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ২৭২ রানে। ম্যাচে ঝোড়ো ৪১ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন রাসেল।ম্যাচ শেষে নিজের এই ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়ে রাসেল স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁকে এই ইনিংস খেলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল ওই ম্যাচে খেলা নারিনের ব্যাটিং।
ম্যাচ শেষে নারিনকে উদ্দেশ্য করে আন্দ্রে রাসেল জানান, ‘তুমি আমাকে এই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছ। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বল থেকেই এই ম্যাচে মেরে খেলার বিষয়ে আমি তোমার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমি প্রথমে কয়েকটা বল দেখে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। উইকেটের বাউন্স এবং গতি আমি বুঝে নিতে চেয়েছিলাম। আমি খুব খুশি এই কারণেই যে গৌতম গম্ভীর আমাকে সেই সুযোগটা দিয়েছেন। আমার কাছে যে বিষয়টা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তা হল এই ম্যাচে ১০০'র বেশি রানে আমরা জিতেছি। ফলে আমাদের রান রেটটাও অনেকটা ভালো হয়েছে।’
নিজের ৩৯ বলে করা ৮৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস নিয়ে বলতে গিয়ে নারিন জানিয়েছেন, ‘শুরুর দিকে ব্যাট করাটা একটু কঠিন ছিল। দিল্লির বোলাররা বলে সুইং পাচ্ছিল। আমাদেরকে দেখে নিতে হয় যে কোন কোন জায়গায় বা কোন শট খেললে আমরা বাউন্ডারি পেতে পারি। একটা বা দুটো বলে ঠিকঠাক কানেক্ট করতে পারলেই বোলাররা চাপে পড়ে যাবে। তারা তখন লাইন এবং লেন্থ বদলানোর চেষ্টা করবে। আর তারা সেটা করার পরেই জিনিসটা অনেকটা সহজ হতে থাকে।’ এরপর রঘুবংশীর ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস সম্বন্ধে বলতে গিয়ে নারিন জানান, ‘আমার মতে নবীন তারকা রঘুবংশী বেশ ভালো এক প্রতিভা। ওঁকে আমি নেটে ব্যাটিং করতে দেখেছি। খুব কঠোর পরিশ্রম করে। দীর্ঘক্ষণ ধরে ব্যাট করতে পারে ও। যত সময় যাবে ওঁর খেলাতে আরও উন্নতি হবে বলেই আমি মনে করি।’