শুভব্রত মুখার্জি:- ৯ জুন অর্থাৎ ভারতীয় সময় রবিবার আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ভারত এবং পাকিস্তান। চলতি টি-২০ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে এই স্টেডিয়ামকে তৈরি করা হয়েছে। এই মাঠে ব্যবহার করা হয়েছে ড্রপ ইন পিচ। এই পিচকে নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বল পরে পিচে থমকে থমকে আসছে। রয়েছে স্পঞ্জি বাউন্স অর্থাৎ হঠাৎ হঠাৎ করে বল লাফিয়ে উঠছে বেশি। এই পিচে ইতিমধ্যেই তিনটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে। তিনটি ম্যাচ হয়েছে লো স্কোরিং ম্যাচ। এমন অবস্থায় ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই পিচে আদৌও ভালো ম্যাচ সম্ভব কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এমন নানা বিষয় নিয়ে এবার প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোরকে। এই বিষয়ে তিনি তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন… খারাপ পিচ ও আউটফিল্ড নিয়ে উঠেছে বিতর্কের ঝড়, নিউইয়র্ক থেকে কি বাকি ম্যাচ সরিয়ে নেবে ICC?
কী জানিয়েছেন বিক্রম, আসুন জেনে নেওয়া যাক-
পাকিস্তান ম্যাচের আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিক্রম রাঠোর জানিয়েছেন, ‘এই উইকেটটা বেশ চ্যালেঞ্জিং। বিশেষ করে এই উইকেটে ব্যাটিং করাটা বেশ কষ্টকর। এখনও পর্যন্ত আমরা সেটাই দেখেছি। তবে আমাদের এই উইকেটেও রান করার উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আমি আগেও বলেছি যে আমাদের দলে স্কিলের কোনও অভাব নেই। ব্যাটিং গ্রুপে অভিজ্ঞতারও কোন অভাব নেই। বিশেষ করে এই ধরনের উইকেটে খেলতে আমাদের ব্যাটাররা সিদ্ধহস্ত। যে কোনও ধরনের উইকেটে ভালো ব্যাট করার মতন একাধিক ব্যাটার আমাদের দলে রয়েছে। আমি মনে করি বছরের পর বছর ধরে এটাই আমাদের দলের সবথেকে বড় শক্তি।’
আরও পড়ুন… পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও কি তিন নম্বরে ব্যাট করবেন ঋষভ পন্ত? উত্তর দিলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ
তিনি আরও যোগ করে বলেন, ‘আমি মনে করি ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে আমরা খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারি। আগেও এটা আমরা প্রমাণ করেছি।এখন ফের আমরা এটা প্রমাণ করব। আমার মতে এই নিউ ইয়র্কের মতন উইকেটে আমাদের মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে না। তবে আমাদের এই উইকেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করলে চলবে না। মানিয়ে নিয়ে এই উইকেটেই আমাদের প্রতিপক্ষ বোলারদের মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের প্রত্যেকেই ভালো ব্যাটিং করছে। ফলে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আমার আলাদা করে কোনও চিন্তা নেই। আমাদের দলের ব্যাটাররা দীর্ঘদিন ধরেই এই টি-২০ ফর্ম্যাটটা খেলছে। আমি সবসময়েই এটা বলেছি আমাদের ব্যাটিং ইউনিট খুব অ্যাডাপ্টিব। বিভিন্ন পরিবেশ, পরিস্থিতিতে তারা মানিয়ে নিয়েছে। আর বছরের পর বছর এটাই আমাদের সবথেকে বড় শক্তি।’