Royal Challengers Bengaluru vs Sunrisers Hyderabad, IPL 2024: চিন্নাস্বামীতে আইপিএলের ইতিহাসের চতুর্থ দ্রুততম শতরান করেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ট্র্যাভিস হেড। মারকাটারি হাফ-সেঞ্চুরি করেন এনরিখ ক্লাসেন। আরসিবির হয়ে জোড়া অর্ধশতরান করেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি ও দীনেশ কার্তিক।
ফের ঘরের মাঠে হারের মুখ দেখতে হল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে। চিন্নাস্বামীর হাই-স্কোরিং ম্যাচে এবার আরসিবি পরাজিত হয় সানরাইজার্স হায়দরবাদের কাছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আরসিবি রান তাড়া করতে নেমে আড়ইশো রানের গণ্ডি টপকেও হারের মুখ দেখে। আসলে সানরাইজার্স শুরুতে ব্যাট করে আরসিবির সামনে এত বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয়, যা টপকানো সম্ভব হয়নি বেঙ্গালুরুর পক্ষে।
সোমবার চিন্নাস্বামীতে আইপিএল ২০২৪-এর ৩০তম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৮৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ১৭ মরশুমের ইতিহাসে এটিই সব থেকে বেশি রানের দলগত ইনিংস। অল্পের জন্য ৩০০ রানের গণ্ডি ছোঁয়া হয়নি হায়দরাবাদের।
ট্র্যাভিস হেড এদিন চিন্নাস্বামীতে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন। মারকাটারি অর্ধশতরান করেন এনরিখ ক্লাসেন। হেড ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৯ বলে। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে এটি আইপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম শতরান। সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। হেড শেষমেশ ৪১ বলে ১০২ রান করে আউট হন।
ক্লাসেন ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ২টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৬৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। এছাড়া ২২ বলে ৩৪ রান করেন অভিষেক শর্মা। মারেন ২টি চার ও ২টি ছক্কা। ১৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন এডেন মার্করাম। তিনিও ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩৭ রান করে নট-আউট থাকেন আবদুল সামাদ।
আরসিবির হয়ে ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করে ২টি উইকেট সংগ্রহ করেন লকি ফার্গুসন। ৪ ওভারে ৬৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন রিস টপলি। ৪ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন যশ দয়াল। কোনও উইকেট পাননি তিনি। বিজয়কুমার বৈশাক ৪ ওভারে ৬৪ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ধ্বংসাত্মক মেজাজে ইনিংস শুরু করে আরসিবি। তারা পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়েই ৭৯ রান সংগ্রহ করে নেয়। শেষে কোহলি ২০ বলে ৪২ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৬২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফ্যাফ ডু'প্লেসি। তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন।
উইল জ্যাকস ৭, রজত পতিদার ৯ ও সৌরভ চৌহান ০ রানে আউট হন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দীনেশ কার্তিক ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৫ বলে ৮৩ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা।
এছাড়া মহীপাল লোমরোর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১১ বলে ১৯ রান করেন। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৪ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অনূজ রাওয়াত। আরিসিবি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৬২ রান সংগ্রহ করে। ২৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সুতরাং, চিন্নাস্বামীতে এদিন ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকুল্যে ৫৪৯ রান ওঠে, যা টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড।
সানরাইজার্স দলনায়ক প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ৪৬ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন মায়াঙ্ক মার্কান্ডে। ম্যাচের সেরা হন ট্র্যাভিস হেড।