
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
আরও একটা আইপিএল, আবারও ব্রাত্য বাংলার ক্রিকেটাররা। বাংলা দলের ক্রিকেটাররা নয়, বাংলার ভূমিপুত্র ক্রিকেটাররা। অভিষেক পোড়েলকে আগেই দলে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস, তাঁরা রিটেন করায় আর অভিষেককে নিলামে উঠতে হয়নি। তাঁর দাদা ইশান পোড়েল এবারেও দল পেলেন না। সঙ্গে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, প্রয়াস রায় বর্মনদেরও একই অবস্থা।
বাংলা দলের ক্রিকেটারদের প্রতি কলকাতা নাইট রাইডার্সের অনীহা বহু দিনের। তাঁরা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ছেড়ে দিতে একবার ভাবেননি। লক্ষ্মীরতন, দেবব্রত দাস, অশোক দিন্দা, ঋদ্ধিমান সাহাদেরও বেশিদিন দলে রাখেনি কেকেআর। তাঁদের স্ট্র্যাটেজি চেন্নাই সুপার কিংসের মতো নয়, যে ভূমিপুত্রদের সুযোগ দেওয়ার। যেমন ৯ কোটির বেশি খরচা করলেও তাঁরা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ফিরিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন- কখনও ফিল্ডিং সাজালেন! কখনও বাচ্চাদের মতো আনন্দ করলেন! পার্থে বিন্দাস মেজাজে বিরাট
বাংলার ভূমিপুত্র নাই বা নিল বাংলা দলের ক্রিকেটারদের চাইলে নিতেই পারে কেকেআর। কিন্তু মুকেশ কুমার, আকাশদীপ বা মহম্মদ শামিদের কারোর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ তাঁরা বেঁধে রেখেছেন, যে তার ওপরে তাঁরা যাবেন না। আবার কিছু ক্ষেত্রে এদের অনেকের জন্য বিডও করেনি নাইটরা, বরং উমরান মালিকদের মধ্যেই বেশি বিশ্বাস ভরসা তাঁরা খুঁজে পেয়েছেন। তবে শুধু নাইটদের কথা বললেও হবে না, কারণ বাংলা ক্রিকেটেও গলদ যে কোথাও রয়েছে তা মানতেই হবে। কারণ অন্য দলও যে বাংলার অনেক ক্রিকেটারকে নিতে চায়নি। অর্থাৎ টি২০তে ধারাবাহিকতা হোক বা লাইমলাইটের অভাব রয়েই গেছে তাঁর মানে।
ভিন রাজ্য থেকে বাংলার হয়ে খেলা মুকেশ কুমারকে দিল্লি নিয়েছে ৮ কোটি টাকায়। মহম্মদ শামিকে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ নিয়েছে ১০ কোটি টাকায়। আকাশদীপ গেছেন এলএসজিতে। কয়েক মাস আগে বাংলা ক্রিকেটে ঘটা করে বেঙ্গল ক্রিকেট লিগ চালু হয়েছিল, আশা করা হয়েছিল সেখান থেকে হয়ত ক্রিকেটাররা উঠে আসবেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রে দেখা গেল, তামিলনাড়ু ক্রিকেট লিগের থেকে অনেকটা পিছিয়েই রয়েছে বেঙ্গল ক্রিকেট লিগ।
আরও পড়ুন-ICC চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জট কাটাতে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক! সেদিন ঘোষণা হতে পারে ভেনু
আইপিএলের অ্যাকসিলারেটেড অকশনের সময়ও বাংলার তুলনায় অখ্যাত অর্থাৎ শামি, আকাশদীপদের মতো নিয়মিত জাতীয় দলে না খেলা ক্রিকেটারদের নিতে কোনও আইপিএল দলই তেমন আগ্রহ দেখালো না। এক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের পারফরমেন্স যেমন একটা কারণ হতে পারে, তেমন টি২০তে যদি বাংলার ক্রিকেটারদের অদক্ষতা সামনে আসে, সেক্ষেত্রে সিএবিও দায়িত্ব এড়াতে পারে না।
Video- বিরাট কোহলির ছয়! সপাটে আঘাত নিরাপত্তারক্ষীর মাথায়! দৌড়ে গেলেন লিয়ন! দেখে যা করলেন কোহলি…
এই নিয়েই সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘আইপিএল তো ফ্র্যাঞ্চাইজি বেসড টুর্নামেন্ট। এখানে কোন দল কি করবে সেটা তাঁদের ওপর। আমাদের কিছুই করার থাকে না। আমরা ধারাবাহিকভাবেই ভালো পারফর্ম করছি। এবারেও সৈয়দ মুস্তাক আলি প্রতিযোগিতায় পরপর ম্যাচ জিতেছি। ফলে প্রতিভা তো বাংলায় রয়েছে। এবার তাঁদের না নেওয়া হলে কি আর করা যাবে ’।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports