বাংলা নিউজ > ক্রিকেট > NZ vs AUS: ৯ উইকেটে ২৬৭ থেকে ৪০০-র দোরগোড়ায় অস্ট্রেলিয়া, হেজেলউডকে নিয়ে শেষ উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ গ্রিনের
পরবর্তী খবর
NZ vs AUS: ৯ উইকেটে ২৬৭ থেকে ৪০০-র দোরগোড়ায় অস্ট্রেলিয়া, হেজেলউডকে নিয়ে শেষ উইকেটে রেকর্ড পার্টনারশিপ গ্রিনের
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 01 Mar 2024, 09:24 AM ISTAbhisake Koley
New Zealand vs Australia Wellington Test: নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টের দশম উইকেটে সব থেকে বেশি রানের পার্টনারশিপ গ্রিন-হেজেলউডের। অতিমানবিক ইনিংস ক্যামেরনের।
হেজেলউডকে নিয়ে রেকর্ড পার্টনারশিপ গ্রিনের। ছবি- এপি।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে একসময় ৮৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে দলের বিপর্যয় রোধ করেন ক্যামেরন গ্রিন। দাপুটে শতরান করে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রাখেন গ্রিন।
পরে অস্ট্রেলিয়া একসময় প্রথম ইনিংসে ২৬৭ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে। সুতরাং, তারা ৩০০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারবে কিনা, সেই বিষয়ে দেখা দিয়েছিল ঘোর সংশয়। তবে জোশ হেজেলউডকে সঙ্গে নিয়ে ক্যামেরন গ্রিনের রেকর্ড দশম উইকেটের পার্টনারশিপ প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে পৌঁছে দেয় চারশো রানের দোরগোড়ায়।
বেসিন রিজার্ভে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৯ উইকেটে ২৭৯ রান। দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংস শেষ করে ৩৮৩ রানে। অর্থাৎ, শেষ উইকেটের জুটিতে ১১৬ রান যোগ করেন গ্রিন ও হেজেলউড। বলা বাহুল্য, এই পার্টনারশিপে গ্রিনের অবদানই বেশি। কেননা হেজেলউড আউট হন ৬২ বলে ২২ রান করে। তিনি ৪টি চার মারেন। গ্রিন এই পার্টনারশিপে যোগ করেন ৮৩ রান। বাকি রান আসে অতিরিক্ত হিসেবে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে দশম উইকেটের জুটিতে রেকর্ড রান সংগ্রহ করেন ক্যামেরন গ্রিন ও জোশ হেজেলউড। অর্থাৎ, ওয়েলিংটনের ১১৬ রান নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ শেষ উইকেটের পার্টনারশিপ। এর আগের রেকর্ড ছিল গ্লেন ম্যাকগ্রা ও জেসন গিলেসপির নামে। দু'জনে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের গাব্বা টেস্টে দশম উইকেটের জুটিতে যোগ করেন ১১৪ রান।
ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে কার্যত একার হাতে টেনে নিয়ে যান ক্যামেরন গ্রিন। তিনি ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। গ্রিন ১৬টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে ১৫৪ বলে শতরানের গণ্ডি টপকে যান। ক্যামেরন ২৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২২৫ বলে ১৫০ রানের গণ্ডি টপকান। শেষমেশ ২৭৫ বলে ১৭৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন গ্রিন। মারেন ২৩টি চার ও ৫টি ছক্কা।
অস্ট্রেলিয়া যখন ৯ উইকেট হারায়, তখন গ্রিনের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ছিল ৯১ রান। সেখান থেকে তিনি নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান ১৭৪ রানে। সুতরাং এটা বলাই যায় যে, ক্রিজের অপর প্রান্তে কোনও সঙ্গী না পাওয়ায় ডাবল সেঞ্চুরি করা হয়নি গ্রিনের।