রাজ্য়ের অধিকাংশ হাসপাতালেই পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে ডায়গনস্টিক সেন্টার চালু হয়েছে। সেখানে রোগীদের ভিড় কিছু কম থাকে না। তবে এবার সেই পিপিপি মডেলে চলা ডায়গনস্টিক সেন্টারগুলির জন্য় নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল। সম্প্রতি এই স্ট্য়ান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর জারি করা হয়েছে। সেখানে এই পিপিপি মডেলে চলা সেন্টারগুলিকে আরও শৃঙ্খলিত করা হচ্ছে। তাদের জন্য চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম। সেখানে বলা হচ্ছে, এই পিপিপি মডেলে চলা সেন্টারগুলিতে নির্দিষ্ট পদমর্যাদার চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশনকেই মান্যতা দিতে হবে।নিয়ম অনুসারে হাসপাতালের চিকিৎসকরা যখন কোনও টেস্টের জন্য প্রেসিক্রিপশনে লেখেন হাসপাতালে থাকা এই পিপিপি মডেলের সেন্টারগুলিতে বিনা পয়সায় পরীক্ষা করা হয়। আবার পিপিপি মডেলের সেন্টারগুলিতে বাইরের রোগীরাও টেস্ট করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট ফি ধার্য্য করা হয়। তবে সেটা হাসপাতালের বাইরে যে বেসরকারি ডায়গনস্টিক সেন্টার রয়েছে তার থেকে যথেষ্ট কম। যেমন ধরা যাক আপার অ্যাবডোমেনে সিটি স্ক্য়ান। পিপিপি মডেলের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাসপাতালের বাইরের রোগীর জন্য খরচ পড়বে ৩৭০০ টাকা। বাইরের ডায়গনস্টিক সেন্টারে সেই খরচ সাড়ে ৯ হাজার টাকা। আর হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রেসক্রিপশন লিখে দিলে সেটা বিনামূল্যে হয়ে যাবে।তবে সম্প্রতি কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালের পিপিপি ডায়গনস্টিক সেন্টার নিয়ে কিছু অনিয়ম হয়েছিল। এরপরই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যদফতর। এদিকে গত ১ জুলাই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কার প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে টেস্ট হচ্ছে ও তার রিপোর্ট সম্পর্কিত বিষয়গুলি পোর্টালে রিয়েল টাইম আপডেট দিতে হবে। মূলত স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য় এই নির্দেশ দেওয়া হয়।এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে একমাত্র সিনিয়র চিকিৎসকরাই টেস্টের জন্য প্রেসক্রিপশন করতে পারবেন। সেই সঙ্গেই কেন সেই টেস্ট করা দরকরা সেটাও লিখতে হবে। প্রেসক্রিপশনে পুরো সই ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখতে হবে। মেডিক্যাল কলেজে অ্য়াসিস্ট্যান্ট প্রফেসর স্তরের চিকিৎসক, অন্যান্য হাসপাতালের ক্ষেত্রে স্পেশালিস্ট মেডিক্যাল অফিসার বা বেড ইন চার্জকে প্রেসক্রিপশনে সুপারিশ করতে হবে।নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে এমার্জেন্সি থেকে সরাসরি এমআরআই পরীক্ষার জন্য পিপিপি মডেলের সেন্টারে পাঠানো যাবে না। রোগীকে ভর্তি করে তারপর সেখানে চিকিৎসকের সুপারিশের ভিত্তিতে পাঠাতে হবে। তবে এমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসার ডিজিটাল এক্সরে বা সিটি স্ক্যানের সুপারিশ করলে ও তার কারণ লিখলে তখন রোগীকে পাঠানো যাবে।