বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটি টাকার অর্থ কেলেঙ্কারি তদন্তে এবার নয়া গতি আনতে উদ্যোগী হল কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আগেই এই মামলার দায়িত্ব পেয়েছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে। এবার এই মামলার তদন্তের জন্য গঠিত হল একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। এই সিট গঠন করলেন লালবাজার গোয়েন্দা শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (২) প্রণব কুমার।
আরও পড়ুন: সিআইডি তদন্তে অসন্তোষ, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে লালবাজার
হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ১ জুলাই সিআইডির কাছ থেকে তদন্তভার সরিয়ে লালবাজারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতে পাঁচ সদস্যের একটি সিট গঠন করা হয়েছে। এই দলে রয়েছেন অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার অভিজ্ঞ আধিকারিক শ্যামল বিশ্বাস, অ্যান্টি ফ্রড শাখার ওসি সৈকত চন্দ্র, ভাঙর ইউনিটের ওসি সুষম মিত্র, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সন্দীপকুমার সাউ এবং ফ্রড সেকশনের সাব-ইন্সপেক্টর সুরজিৎ বণিক। এর আগেই এই মামলায় সিআইডি ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে। যদিও মূল অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স বিভাগে কর্মরত ভক্ত মণ্ডল এখনও পলাতক। তাঁর আগাম জামিন চেয়ে দায়ের হওয়া মামলায় জেলা বিচারক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলেন।
প্রসঙ্গত, অভিযোগ, ২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা সময়ের আগেই তুলে নেওয়া হয় এবং সেই টাকা সোজা গিয়ে জমা পড়ে এক ঠিকাদার সুব্রত দাসের অ্যাকাউন্টে। ঘটনার পর তৎকালীন রেজিস্ট্রার সুজিত কুমার চৌধুরী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে সিআইডি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছনোর তথ্য পায়। এমনকি ব্যাঙ্কের কিছু কর্মীর ভূমিকাও সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে।