তন্ময় চট্টোপাধ্য়ায়কলকাতা হাইকোর্টের ভ্যাকেশন বেঞ্চ এবার বাজির শব্দসীমা বৃদ্ধি নিয়ে কৈফিয়ৎ চাইল রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে। এদিকে বাংলায় সবুজ বাজির শব্দসীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে বাড়িয়ে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছিল। এবার তা নিয়ে রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে এনিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।এনিয়ে হাইকোর্টের কাছে পিটিশন দাখিল করেছিল সবুজ মঞ্চ নামে একটি এনজিও। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভ্যাকেশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও পার্থসারথী চট্টোপাধ্য়ায় বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিয়েছেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা পেশ করুন। কেন শব্দসীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে তা জানান। এই সরকারি নির্দেশের আগে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল কি না সেটাও জানতে চেয়েছে আদালত। মূলত এই শব্দসীমা শিথিল করার কারণটা জানতে চেয়েছে আদালত।এদিকে গত ১৭ অক্টোবর রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছিল, সবুজ বাজির শব্দসীমা ১২৫ ডিবির মধ্যে রাখতে হবে। আলো নির্গত হয় যে সবুজ বাজি থেকে সেটা ৯০ ডিবির মধ্য়ে রাখতে হবে। এই সবুজ বাজি ফাটার সময় চার মিটারের মধ্য়ে থেকে মাপতে হবে।এদিকে রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবীরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের ১৯৯৯ সালের নির্দেশ অনুসারে এই নির্দেশ শিথিল করা হয়েছে। গোটা দেশজুড়ে এই ব্যবস্থা রয়েছে।এনজিওর পক্ষে আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী ১৭ অক্টোবরের নির্দেশের পেছনের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, যে বাজিগুলি আগে অবৈধ ছিল সেটা আচমকা বৈধ হয়ে গেল।ওয়েস্ট বেঙ্গল ফায়ারওয়ার্ক ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বাবলা রায় দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, বাংলার সরকার গত ২৪ বছর ধরে শব্দসীমাকে আটকে রেখেছে। তবে সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯৯ সালের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বাজির শব্দসীমা সর্বোচ্চ করা হয়েছিল ১২৫ ডিবি।এদিকে এবার সরকার ঘোষণা করেছে দিওয়ালির সময় সবুজ বাজি দুঘণ্টার জন্য ফাটানো যাবে। রাত ৮টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ছট পুজোর সময় এই সময়সীমা করা হয়েছে সকাল ৬টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত।খ্রীষ্টমাস ও নতুন বছরের আগে সবুজ বাজি মাত্র ৩৫ মিনিট ব্যবহার করা যাবে।