রাস্তায় সরকারি বাসের সংখ্যা এমনিতেই কম, তার ওপর পর্যাপ্ত চালক এবং কন্ডাক্টর না থাকায় ঠিকমতো বাস চলছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সরকারি বাসের অপেক্ষায় দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ নিয়ে সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পরিবহণ দফতর। শহরের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস নামাতে সম্প্রতি চালক এবং কন্ডাক্টর চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য টেন্ডার ডেকেছিল পরিবহণ দফতর। তা সত্ত্বেও মিলছে না চালক ও কন্ডাক্টর। মাত্র একটি সংস্থা এগিয়ে এছেছে। এই অবস্থায় ফের টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর।
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক গাড়ি ব্যবহারের সময়সীমা বৃদ্ধির ভাবনা রাজ্যের, মামলা চলছে হাইকোর্টে
গত জানুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় পর্যাপ্ত বাস না থাকার জন্য পরিবহণ দফতরের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পরিবহণ বিভাগের তরফে জানানো হয়, পর্যাপ্ত চালক এবং কন্ডাক্টর না থাকায় প্রায় ৪০০টি রাজ্য বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রায় প্রতি মাসে প্রায় ২০ জন কন্ডাক্টর এবং চালক তাদের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করছেন। তাই বাস নামাতে গেলে চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগ করা জরুরি। রাজ্য পরিবহণ দফতর ৪৮০ জনেরও বেশি চালক এবং প্রায় ৪০০ জন কন্ডাক্টর নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে কোনও সংস্থার মাধ্যমে এই নিয়োগ চাইছিল সরকার। সেইমতো টেন্ডার ডাকা হয়।
টেন্ডার অনুযায়ী, চালকদের বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে, অষ্টম শ্রেণি পাশ হতে হবে এবং ভারী বাণিজ্যিক যানবাহন চালানোর বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। তাঁদের মাসে ১৬,০০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। কন্ডাক্টরদের ক্ষেত্রে বলা হয়, মাধ্যমিক পাশ হতে হবে, বয়স ৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে এবং বৈধ কন্ডাক্টর লাইসেন্স থাকতে হবে। তাঁদের প্রতি মাসে ১৩,৫০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হবে। তবে অনেকের কাছেই বেতন কাজের চাহিদার সঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়নি। ফলে কোনও সংস্থা সেভাবে এগিয়ে আসছে না। যদিও পরিবহণ বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,