আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতোই বেলা গড়াতেই আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতায় বৃষ্টি নামল। মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হতে দেখা গেল কলকাতার অন্যান্য প্রান্তে। এছাড়া বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা—চার জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী কয়েক ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে বাঁকুড়া আর বিষ্ণুপুরের মাঝে এবং উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হচ্ছে। বিহার–নেপাল অঞ্চলে অবস্থান করছে একটি মেঘপুঞ্জ। দুপুরের পর থেকে নানা জায়গায় কালবৈশাখী–সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টির সঙ্গে জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে।
এদিকে দক্ষিণ কলকাতায় ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়। তার মধ্যে নিউ আলিপুর, বিজয়গড় এবং গল্ফগ্রীণে শিলাবৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা সেই শিলা কুড়িয়ে রেখে আনন্দ নিচ্ছেন। কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎ–সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্কতা আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।
আরও পড়ুন: ‘বর্ধমান থানার আইসিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্যান্ট খুলে জুতোপেটা করব’, হুঁশিয়ারি দিলীপের
অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার তালিকার শীর্ষে ছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুন্ডা। তাপমাত্রা সেখানে বেড়েই চলেছিল। রোজই তাপপ্রবাহের দাপটে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতাতেও তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রিতে পৌঁছে গিয়েছিল। তবে পরিস্থিতি বদলেছে দ্রুতই। সোমবার থেকে শুরু হয় দু’দিনের ঝড়বৃষ্টি। তাতে সর্বত্র তাপমাত্রা কমে গিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়েও নীচে চলে গিয়েছে পারদ। এখন যা পরিস্থিতি তাতে কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ঝড়বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে বলে সতর্কতা জারি আলিপুর আবহাওয়া দফতরের।