যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে। তার সঙ্গে তেতে উঠেছে রাজনৈতিক বাতাবরণ। গত শনিবার থেকে তপ্ত হয়ে রযেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ওয়েবকুপার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই বাম ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে অভব্য আচরণ করা হয়। ভেঙে দেওয়া হয় শিক্ষামন্ত্রীর পাইলট কার বলে অভিযোগ। অধ্যাপকদের পর্যন্ত নিগ্রহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তখনই এক ছাত্রের সঙ্গে ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কা লাগে। তা থেকে উত্তেজনার সৃষ্টি। এখন ওই পরিস্থিতি থামাতে এবার বিশেষ বৈঠক ডাকলেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগামীকাল শুক্রবার বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ওই বৈঠকে উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে উপস্থিত থাকার কথা বলা হয়েছে। তবে এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ভাস্কর গুপ্ত। সুতরাং তিনি ওই বৈঠকে আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। তবে ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে সব তথ্য চলে এসেছে বলে সূত্রের খবর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার পর থেকেই অসুস্থ উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন উপাচার্য। সুতরাং রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে উপাচার্য ভার্চুয়ালি উপস্থিত হবেন কিনা সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ‘ভোটার কার্ডেও ইউনিক আইডি চালু করতে হবে’, নির্বাচন কমিশনে দাবি ফিরহাদ হাকিমের
যে ছাত্র হামলা চালিয়েছিল তার সঙ্গে ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কা লাগে। তাতে ওই ছাত্র চোট পান। এই ঘটনা নিয়ে বামেদের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই হামলার ঘটনায় আগেই বামেদের ছাত্র সংগঠনকে হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় এবং কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এবার কড়া হুঁশিয়ারির তালিকায় নাম লেখালেন ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আহত ছাত্র সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর বাবাকে ফোন করে কথা বলেছেন।