মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সোমবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছিলেন, তিনি বেঁচে থাকতে কোনওভাবে চাকরি যেতে দেবেন না। যদিও রাজ্য সরকার কীভাবে এই গোটা পরিস্থিতি সামলাবে? তা নিয়ে এখনও সামনে আসেনি সরকারের পরিকল্পনা। তবে সূত্রের খবর, এনিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে বিভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। (আরও পড়ুন: কসবায় DI অফিসে ধুন্ধুমার, চাকরিহারা শিক্ষকদের ওপর লাঠিচার্জ 'অমানবিক' পুলিশের)
আরও পড়ুন: 'সবাই খেলছে, আমরা এখন ভোটব্যাঙ্ক', ধর্মতলায় রাত কাটাবেন শিক্ষকরা, বড় আন্দোলন!
এক্ষেত্রে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর বিষয়ে একটা চিন্তাভাবনা চলছে। সুত্রের খবর বিকাশভবনে তরফে অর্থ দফতরের কাছে এই মর্মে ফাইল পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পার্শ্বশিক্ষকরা মাসে ১৩ হাজার করে বেতন পেয়ে থাকেন। তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ বিষয়টি অর্থ দফতরের বিবেচনাধীন। সেক্ষেত্রে সরকার পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর পর যোগ্য চাকরিহারাদের মধ্যে থেকে আরও পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ করতে পারে বলে সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও চাকরিহারা স্কুল শিক্ষকদের বেতনের থেকে তা অনেক কম হবে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাকরিহারাদের একটি বড় অংশকে পুনর্বাসন দেওয়া যেতে পারে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
এদিকে, রায়ের ব্যাখ্যা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে রয়েছেন আধিকারিকরা। যদিও পার্শ্বশিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির আলোচনা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কোনও আধিকারিক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি আইনি কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির কাছে চাকরিহারা শিক্ষকদের নিয়ে বিকল্প পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।