বাংলার শিক্ষাব্যবস্থা এখন জেলে। এই কথাই শোনা যায় রাজ্যের বিরোধী দলগুলির নেতাদের মুখে। কিন্তু এই দফতরের মাথায় শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ব্রাত্য বসুকে বসিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। যেভাবে মিড–ডে মিল থেকে জুতো–জামা এবং সাইকেল সরকারি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় তা দেখে অনেকেই অভিভূত। এমনকী পড়াশোনার বইও মেলে বিনামূল্যে। এসব দেখে এবার ইউনেস্কোর চিঠি পেল নবান্ন। তাতে রাজ্যের শিক্ষাব্য়বস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়ে ইউনেস্কোর ইন্সটিটিউট ফর লাইফ টাইম লার্নিং চিঠি দিয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ বুধবার এই চিঠি এসে পৌঁছেছে নবান্নে। আর ইউনেস্কোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। আর এই চিঠি পেয়েই নবান্নের উচ্চপদস্থ অফিসারদের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে চলতি সপ্তাহেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে হতে পারে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বিরোধীদের কাছেও এটা বড় চাপ তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী জানা যাচ্ছে? ইউনেস্কোর ইন্সটিটিউট ফর লাইফ টাইম লার্নিং অন্যান্য দেশে এমনকী বিদেশেও শিক্ষাপ্রসারের কাজ করে থাকে। এই লার্নিং সেন্টার প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে বুনিয়াদি শিক্ষা–সহ একাধিক বিষয়ে পড়ুয়াদের দক্ষ করে তোলে। আর ছাত্র–ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় শুনে যেমন পদক্ষেপ করে তেমন নানা বিষয়ের সুপারিশ এবং পরামর্শ দিয়ে থাকে তারা। এবার ইউনেস্কো জুড়তে চলেছে বাংলার শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে। এমনকী বাংলার বুনিয়াদি শিক্ষার সঙ্গে জুড়তে আগ্রহ দেখিয়েছে ইউনেস্কো। যা খুব ভাল খবর বলে মনে করা হচ্ছে।