জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। টুইট করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। আর তিলজলা কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। তিলজলায় শিশু হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অগ্নিগর্ভ তিলজলা
তিলজলা কাণ্ডে আরও ২০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপর রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের। যদিও এই ২০ জন সাত বছরের শিশুকন্যাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত নয়। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া এবং পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিলজলা কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। এই কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো এই কথা জানিয়েছেন।
কেন হামলা করা হয় পুলিশের উপর? স্থানীয় সূত্রে খবর, শিশুকন্যা খুনে পুলিশ প্রথমে নিষ্ক্রিয় ছিল। তাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে তিলজলা, পার্ক সার্কাস, বন্ডেল রোড, পিক গার্ডেন এবং তপসিয়ার একাংশ। সকাল থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। থানায় সে খবরটি জানানোও হয়। তারপরও পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ করতে ঢিলেমি করেছে। অনেক পরে তল্লাশি শুরু করে। শিশুটি যে আবাসনে থাকে সেখানেরই একতলায় প্রতিবেশীর ঘর থেকে উদ্ধার হয় হাত–পা বাঁধা দেহ। দুপুরে আবার থানায় গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তখন কর্তব্যরত এক পুলিশকর্মী বলেছিলেন, ‘এখন লাঞ্চ টাইম চলছে। তারপর দেখা যাবে।’ তাই বিক্ষোভ চরমে উঠেছিল।
শিশু সুরক্ষা কমিশন কী জানিয়েছে? জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা নিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। টুইট করে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তাঁরা। আর তিলজলা কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশন। তিলজলায় শিশু হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, ওই শিশুটি রবিবার সকালে আবাসনের নীচে আবর্জনা ফেলতে গিয়েছিল। তখন তাকে দোতলার ফ্ল্যাটে টেনে নিয়ে যান প্রতিবেশী যুবক অলোক কুমার।