ত্রিপুরায় নিজেদের জায়গা মজবুত করতে কোমর বেঁধে নেমেছে তৃণমূল। আর তারইমধ্যে মেঘালয়েও প্রভাব বিস্তার করছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার সেখানে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সে রাজ্যের ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। যার মধ্যে রয়েছেন মেঘালয়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সামাং। এই অবস্থায় আগামিদিনে ভারতে প্রধান বিরোধী দল হয়ে উঠবে তৃণমূল। তারপরে তৃণমূলই সারাদেশের মানুষের সেবা করবে। এমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আগামিদিনে তৃণমূল সারা দেশে যে প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে, এদিন তা স্পষ্ট করে দিলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, 'প্রথমে আমরা বিরোধী দল হয়ে উঠব এবং তারপর সেবক দল হয়ে মানুষের জন্য কাজ করব, যেটা বাংলার মানুষের জন্য করছি।'অন্যদিকে, পুরভোট নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ফিরহাদ। তিনি মনে করেন, বর্তমানে বিজেপির যা অবস্থা, তার ফলে পুরভোট নিয়ে তারা ভয় পাচ্ছে। সেই কারণে তারা পুরভোটে বাধা দিতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে। মন্ত্রীর কটাক্ষ, 'কনফিডেন্স লুজ করেছে বিজেপি। তারা হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে।' তবে তৃণমূল যে পুরভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সে বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন ফিরহাদ।পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফিরহাদ বলেন, 'আমরা পুরভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। আমরা মানুষের সঙ্গে থাকি। মানুষের হয়ে কাজ করি। রাজ্যের মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্প নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মানুষও আমাদের পাশে রয়েছেন। ' এককথায় পুরভোট নিয়ে 'ফুল কনফিডেন্স' রয়েছে ফিরহাদের। একইসঙ্গে পুরভোট নিয়ে ফের প্রকাশ্যে এসেছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালকেও বিঁধতে ছাড়েননি রাজ্যের মন্ত্রী। তিনি বলেন, 'রাজ্যপালটার জন্য হাওড়া পুরসভার ভোট দেরি হয়ে গেল।' ইতিমধ্যেই পুরভোট নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে সেখানে সত্যেরই জয় হবে বলে মনে করেন ফিরহাদ।