বিধানসভার বাজেট অধিবেশন এবং যে দুদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন সেই দিনগুলিতে সমস্ত বিধায়কদের উপস্থিত থাকতে হুইপ জারি করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু দেখা যায়, সেই হুইপ অমান্য করে বিধানসভার অধিবেশনে অনুপস্থিত রইলেন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি থেকে শুরু করে ৩০ জনের বেশি বিধায়ক। এই ঘটনা লক্ষ্য করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কড়া পদক্ষেপ করা হবে। এবার সেই সমস্ত বিধায়কদের তলব করার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি। বাজেট অধিবেশনের শেষ দু’দিন দলীয় হুইপ বিশেষ করে জারি করা হয়েছিল। যা অমান্য করে বিধায়করা অনুপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ। এবার তাঁদের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে সশরীরে হাজিরা দিতে হবে।
এই হাজিরা কেউ এড়াতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলেও তারিখ চূড়ান্ত হয়নি এখনও। তবে ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯–২০ এই দুটি তারিখে বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের উপস্থিত থাকাটা ‘বাধ্যতামূলক’ করা হয়েছিল। তাই তিন লাইনের লিখিত হুইপ জারি করেছিলেন বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ। ১৯ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধিবেশনে অধিকাংশ দলীয় বিধায়ক যোগ দিলেও অনুপস্থিতির সংখ্যাও ৩০ ছাড়িয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। যা নিয়ে দলের অন্দরেই ফিসফাস শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কলকাতা জাদুঘরে বোমাতঙ্ক, বের করে দেওয়া হচ্ছে দর্শকদের, হুমকি ইমেল ঘিরে আতঙ্ক
এই ঘটনা নজরে আসতেই জরুরি বৈঠকে বসেন তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে ঠিক হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি অনুপস্থিত বিধায়কদের তালিকা তৈরি করবে। তারপর তাঁদের সশরীরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেবে। সুতরাং এখন সেই তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার তিনটি কপি করা হয়েছে। একটি পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। দ্বিতীয়টি গিয়েছে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর তৃতীয়টি রয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে। তাই এবার অনুপস্থিতির কারণ ব্যাখ্যা দেওয়ার সময় বিধায়কদের বলে সূত্রের খবর।