এই জোট হচ্ছে জেনে খুশি বিজেপি। কারণ কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট হলে বিজেপির আসন পাওয়া এখানে কঠিন ছিল। সেখানে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় কয়েকটি আসন পেতে পারে বিজেপি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অভিষেক বুঝিয়ে দিলেন, জোট নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট ধৈর্য্য দেখিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেসই তাতে সাড়া দেয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইন্ডিয়া জোটে থাকলেও বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও জোট হচ্ছে না। ফলে ৪২টি আসনে একাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচন সামনে। এখনও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেনি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে তার মধ্যেই মার্চ মাসে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ আসছে কলকাতায়। বিজেপির শীর্ষ নেতা–মন্ত্রীরাও বাংলায় আসবেন প্রচার করতে। সুতরাং লড়াই হবে তৃণমূল বনাম বিজেপি। এবার সেটা সরাসরি জানিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের কথায়, ‘বাংলায় জোট হচ্ছে না। অতি চালাকের গলায় দড়ি।’
এদিন অভিষেক কংগ্রেসের পরিকল্পনা সবার সামনে নিয়ে এসেছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে কেন কংগ্রেস দেরি করেছিল? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়েই হাটে হাঁড়ি ভেঙেছেন কংগ্রেসের। অভিষেকের বক্তব্য, ‘২০২৩ সালের জুলাই মাসে যখন পাটনাসাহিবে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়, তখনই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, যত দ্রুত সম্ভব আসন সমঝোতা করে ফেলতে হবে। কিন্তু কংগ্রেস তখন তা করেনি। কংগ্রেস তখন পাঁচ রাজ্যের ভোট নিয়ে ব্যস্ত ছিল। ভেবেছিল, তিনটে রাজ্যে জিতলে আসন রফার বিষয় নিয়ে দর কষাকষিতে এগিয়ে থাকবে। অতি চালাকের গলায় দড়ি। যা হওয়ার তাই হয়েছে।’
এদিকে এই জোট হচ্ছে জেনে খুশি বিজেপি। কারণ কংগ্রেস–তৃণমূলের জোট হলে বিজেপির আসন পাওয়া এখানে কঠিন ছিল। সেখানে ভোট ভাগাভাগি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় কয়েকটি আসন পেতে পারে বিজেপি বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেন জোট হল না? এই প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূলের একটাই নীতি হল, বিজেপিকে হারানো। আর কংগ্রেস দু’টো নীতি। সারা দেশে বিজেপিকে হারানো এবং বাংলায় তৃণমূলকে হারানো। যেদিন আমি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক করেছি, সেদিন অধীর চৌধুরী সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। রাহুল গান্ধী বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ শরিক। আর অধীর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন, ক্ষমতা থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহরমপুরে এসে দাঁড়ান। কই তিনি তো বলছেন না বহরমপুরে এসে নরেন্দ্র মোদী, সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী বা দিলীপ ঘোষ দাঁড়ান।’