‘‌পুরসভা কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়’‌, শুভেন্দুকে কড়া জবাব মন্ত্রী ফিরহাদের

কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন–কাণ্ড এবং দেবাঞ্জন দেবকে নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। এই ঘটনাকে নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধে চলেছে বিজেপি নেতারা। জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা পুরসভার নাম। দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী–সহ বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, এই ঘটনায় কলকাতা পুরসভা সমস্ত কিছু জানত। এমনকী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের সঙ্গে পুরসভার প্রশাসকের যোগ আছে। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতা পুরসভার কোনও গোয়েন্দা শাখা নেই। যে তারা তদন্ত করবে। কেউ সিবিআই সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও সেটা ধরতে পারছে না। সেখানে কলকাতা পুরসভা কী ভাবে সেই কাজ করবে।’বিধানসভার ভেতরেই সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ‘শাসকদলের হাতে তৈরি ভুয়ো দেবাঞ্জনকাণ্ড। আর তার সঙ্গে কলকাতা পুরসভা সরাসরি যুক্ত। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক থেকে একাধিক বিধায়ক, আইপিএস, জনপ্রতিনিধি, আধিকারিক, ছোট–বড় নেতা সবাই যুক্ত। সেটা ইতিমধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে।’জবাবে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতা পুরসভার নিজস্ব গোয়েন্দা শাখা নেই। পুরসভা গোয়েন্দাগিরি করে না। পুরসভা পুলিশের কাজ করে না। মানুষকে নাগরিক পরিষেবা দেয়। রাস্তা পরিষ্কার করা, নিকাশের কাজ করা, কর মূল্যায়নের কাজ করে। যারা গোয়েন্দার কাজ করে সেই সিবিআই যখন নিজেদের ভুয়ো আধিকারিক অফিসারকে ধরতে পারছে না, তখন কলকাতা পুরসভা এত বড় শহরের মধ্যে এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কে বা কারা সংগঠিত করছে ধরবে কী করে? সিবিআইয়ের ভিতরে থেকে ভুয়ো আধিকারিক সেজে বিদেশ চলে যাচ্ছে, সেটাই ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিরোধী দলনেতার এগুলি আগে জানা উচিত। পুরসভা কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়।’