হুগলির চণ্ডীতলায় রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশকে নিয়ে মন্ত্রী বেচারাম মান্নার মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাল বিরোধীরা। বাম – বিজেপি - কংগ্রেসের একযোগে দাবি, পুলিশকে চাকরবাকর মনে করেন শাসকদলের নেতা - মন্ত্রীরা। তাই সামান্য অবাধ্য হলেই তাদের ওপর হামলা করার হুঁশিয়ারি দেন।এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘আমাদের বিরোধী দলনেতা যখন পুলিশকে বলেছিলেন ‘ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন’ তখন অনেক কথা হয়েছিল। এই মন্তব্য অমানবিক ইত্যাদি বলা হয়েছিল। ওদিকে শাসকদলের নেত্রী বলছেন পুলিশকে চাবগানো উচিত। তাঁর নেতা পুলিশকে বোম মারতে বলছেন। তখন কিছু হচ্ছে না। পুলিশকে এরা চাকরবাকর মনে করে। আর পুলিশ যখন সেভাবে কাজ করে না তখন এরকম ব্যবহার করছেন’।সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বেচারাম মান্না সংবিধানের নামে শপথ নিয়েছেন। তিনিই আবার সংবিধানবিরোধী কাজে উসকানি দিচ্ছেন। ওনার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদক্ষেপ করা উচিত। কিন্তু তা তিনি করবেন কী করে? কারণ তিনি তো পুলিশকে বোম মারার হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধি দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ফলে বেচারাম তার কাছাকাছি যাওয়ার জন্য পুলিশকে আছাড়া মারবেন বলেছেন। পুলিশকে তুলে আছাড় মারার কথা বললে তো পুলিশমন্ত্রীর রুখে দাঁড়ানো উচিত’।কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘এরাজ্যের চটিচাটা পুলিশ প্রভুর লাথি - ঝাঁটা খেতে রাজি আছে। তাই সাধারণ মানুষকে কামড়াচ্ছে আর বেচারামের মতো লোকের সামনে লেজ নাড়ছে। যে বেচারাম ইংরাজিতে পুলিশ শব্দটা লিখতে পারে না সে কি না বলছে পুলিশকে আছাড় মারব। চূড়ান্ত লজ্জার ব্যাপার। ভালো বাড়ির ছেলে-মেয়েরা আর পুলিশের চাকরিতে আসবে না’।রবিবার হুগলির চণ্ডীতলার জয়কৃষ্ণপুরে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের নীচে সাবওয়ে তৈরির দাবিতে একটি সভা ছিল। সভার পর গ্রামবাসীদের সঙ্গে আলোচনার সময় বেচারাম তাঁদের বলেন, ‘যেখানে রাস্তার কাজ করছে করুক। তাতে বাধা দেওয়া যাবে না। রাস্তা অবরোধও করা যাবে না। কিন্তু সাব ওয়ের জন্য প্রস্তাবিত ১০০ মিটার জায়গায় রাস্তার কাজ করতে এলে তাকে ধরে বেশ করে পিটিয়ে দেবে। বাকিটা আমি বুঝে নেব।’ তখন এক গ্রামবাসী বলেন, জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাউকে মারধর করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারে।একথা শুনে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বেচারাম। তিনি বলেন, ‘কাজ বন্ধ করতে গেলে পুলিশ যদি ঝামেলা করে আমি পুলিশকে ধরে আছাড় মারব। এখানেই মারব।’