ধাপায় প্রতিদিন কয়েক টন থার্মোকল মজুত হয়। তবে এগুলি প্রক্রিয়াকরণের জন্য এতদিন কোনও ব্যবস্থা ছিল না কলকাতায়। এর ফলে থার্মোকল গুঁড়ো মাটির সঙ্গে মিশে দূষণ ছড়াচ্ছিল। সেই সমস্যার সমাধানে এবার থার্মোকল প্রক্রিয়াকরণের জন্য নতুন প্রসেসিং ইউনিট গড়ে উঠেছে ধাপায়। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সময়ের মধ্যে ধাপায় সম্পন্ন হয়নি বায়োমাইনিং, সংস্থার চুক্তি বাতিল করল পুরসভা
সাধারণত শহরে প্রতিদিন টিভি, ফ্রিজ থেকে শুরু করে এসি, ফ্যান এবং আরও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রি হয়। এই ধরনের সামগ্রীগুলি সাধারণত থার্মোকলে মুড়ে বিক্রি করা হয়। ক্রেতারা এই সমস্ত বৈদ্যুতিন সামগ্রী কেনার পর কেউ স্টোর রুমে আবার কেউ বাড়ির ছাদে ছাদে অথবা রাস্তায় ফেলে দেন। এরফলে দূষণ ছড়ায়। তবে প্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা না থাকায় এতদিন পুরসভার কর্মীরা অনেক ক্ষেত্রেই এই বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করতে আপত্তি জানাতেন। সেই সমস্যার সমাধানে এবার থার্মোকল বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে ধাপায়।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কাজের জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা খরচ করে মেশিন কেনা হয়েছে। পুরসভার আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন শহরে সাত টন থার্মোকল বর্জ্য জমে। তার মধ্যে ধাপায় আসে এক থেকে দেড় টন। সেই কারণে ধাপায় প্রসেসিং ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, এতদিন থার্মোকল প্রসেসিং ইউনিট না থাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে থার্মোকল সংগ্রহ করা হতো না। এবার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট গড়ে ওঠায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে থার্মোকল সংগ্রহ করা হবে। বর্তমানে শুধু ধাপায় ৩০ টন থার্মোকল মজুত রয়েছে। এর বাইরে আরও থার্মোকল রয়েছে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ধাপায় গিয়ে এই প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখেন পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এর পাশাপাশি তিনি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বা জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটগুলি ঘুরে দেখেন। উল্লেখ্য, কলকাতার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পুর এলাকা যেমন হাওড়া নয়, পানিহাটি, বিধাননগর, এনকেডিএ, নবদিগন্ত সব জায়গার আবর্জনা ধাপায় এসে পৌঁছচ্ছে। এই অবস্থায় সেখানে চাপ বাড়ছে। তাই অন্যান্য পুর এলাকাতেও এই ধরনের প্রক্রিয়াকরণের ইউনিট গড়ে তোলা উচিত বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।