কলকাতায় ৭০ কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ উঠল একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। প্রায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যার মধ্যে বেশিরভাগই প্রবীণ নাগরিক। কলকাতা পুলিশের বিশেষ সেল ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কয়েক মাস আগে এই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখা তিহাড় জেলে বন্দি সঞ্জীব শুক্লাকে গ্রেফতার করেছিল। সম্প্রতি শুক্লাকে কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করে শহরে নিয়ে এসেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে অন্যান্য অভিযুক্তরা বিদেশে রয়েছে।
পুলিশ দুটি অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল। যার ফলে একটি পার্ক স্ট্রিট থানায় এবং অন্যটি দায়ের হয়েছিল শেক্সপিয়ার সরণি থানায়। গত সেপ্টেম্বরে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। শেক্সপিয়ার সরণি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল গত বছরের অগস্টে। দিল্লিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল গত বছরের জুলাই মাসে। রয়েড স্ট্রিটের বাসিন্দা কিশওয়ার মজিদ নামে একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলের অধ্যক্ষ এনিয়ে ইডি-তে একটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তাঁরা গুরগাঁও-ভিত্তিক ক্রেডফোর্স এশিয়া লিমিটেড নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগ ছিল, সংস্থায় বিনিয়োগ করলে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু কোভিডের পর থেকে সেই লভ্যাংশ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ, ওই সংস্থার কর্মকর্তারা পুরানো বিনিয়োগকারীদের অর্থ প্রদান না করে নতুন সংস্থা তৈরি করেছে এবং তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং টেক্সাসে পালিয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযোগকারীরা এবিষয়ে বিদেশ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন।