মানতে হবে ১৪৪ ধারা। এই নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার এই নির্দেশকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে, মাঝরাতেই আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের বেঞ্চে একটি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। এমনকী সেই মামলা করার অনুমতিও দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আজই জরুরি ভিত্তিতে ওই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে বলে সূত্রের খবর। মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, পর্ষদের মামলা সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী আবেদন করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে জানায়, সল্টলেক করুণাময়ীর যে চত্বরে টেট প্রার্থীরা আন্দোলন করছেন, সেখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই অবস্থান–জমায়েত তুলে দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পর্ষদের সামনে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে তা বজায় রাখতে প্রশাসন ধর্না তুলে দিতেই পারে। পুলিশ কি পাওয়ারলেস? ১৪৪ ধারা মানতে হবে বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আদালত নির্দেশ দেয় পর্ষদ অফিসের সামনে ১৪৪ ধারা মেনে চলতে হবে। পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে হবে। ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই পরিস্থিতি বলবৎ থাকবে বলেও সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দেয়।
তারপর সেখানে কী ঘটল? কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরই মিডনাইট অপারেশনে নামে পুলিশ। করুণাময়ীতে ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট আন্দোলনকারীদের চ্যাংদোলা করে তুলে দেয় পুলিশ। আদালতের নির্দেশের পর পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। ৮৪ ঘণ্টা ধরে অবস্থান–অনশন চালাচ্ছিলেন টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীরা। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ আন্দোলনকারীদের জোর করে তুলে দেয় পুলিশ। কার্যত চ্যাংদোলা করে প্রিজন ভ্যানে তুলে দেওয়া হয় চাকরিপ্রার্থীদের।