ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ আতঙ্কে যখন মানুষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখনই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। এবার টেরিটি বাজারে বিধ্বংসী আগুন লেগে যাওয়ায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। আজ, বুধবার রাতে জনবহুল এই এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে এই আগুন নেভাতে উপস্থিত হয় দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। তারপর আগুন লেলিহান শিখা বাড়তে থাকায় আরও ৫টি ইঞ্জিন নিয়ে আসা হয়েছে। তবে পরে আরও লাগবে কিনা সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। এখন ১৫টি ইঞ্জিন দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। এই আগুন নেভাতে স্থানীয় মানুষজনও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে দাউদাউ করে জ্বলছে একের পর এক দোকান। টেরিটি বাজারের ঠিক বিপরীত দিকে একটি কাঠের বাক্সের দোকানে প্রথমে আগুন লাগে। সেখান থেকেই আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র বলেই খবর মিলেছে। তারপর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বিধ্বংসী আগুন নেভানোর কাজ। আজ রাত ৮টা নাগাদ এই আগুন লাগে। কীভাবে আগুন লেগেছে এখানে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই আগুনের তীব্রতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। দ্রুত এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। সবটা সামলাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব, একগুচ্ছ নির্দেশ জারি
অন্যদিকে এখন যা পরিস্থিতি তাতে দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে আগুলের লেলিহান শিখা। একের পর এক দোকানে আগুন লেগে তা ভস্মীভূত হয়ে যাচ্ছে। রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই আগুন এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে বড় ক্ষতি হয়ে যাবে ব্যবসায়ীদের বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুতের তারের একটি গুদামেও আগুন লেগেছে বলে সূত্রের খবর। তাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে। এখানে প্রচুর দাহ্য বস্তু মজুত ছিল বলে অনুমান করছেন দমকলকর্মীরা। আর তার জেরেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে ব্যাপকভাবে। টেরিটি বাজারের কাছেই রয়েছে এজরা স্ট্রিট। এজরা স্ট্রিটের আলোর মার্কেট বেশ জনপ্রিয়।