রক্ষাকবচ থাকতেও মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। কিন্তু এবার সর্বোচ্চ আদালত থেকেই ধাক্কা খেলেন পলাশীপাড়ার বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্য। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে মানিক ভট্টাচার্যের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হল। আজ, বৃহস্পতিবার মানিক ভট্টাচার্যকে ইডির গ্রেফতার সঠিক বলেই জানানো হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টে? গত মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল এখনই মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না তদন্তকারী সংস্থা। তবে তদন্ত চালিয়েছে যেতে পারবে তারা। আর আজ, বৃহস্পতিবার বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চ মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন মামলায় রায়দান করেন। সেখানে ইডির গ্রেফতারকে সঠিক বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে মানিক ভট্টাচার্যের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট আগে জানিয়েছিল, তদন্ত শেষ করে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। সেই রিপোর্ট দেখে পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত। এছাড়া প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে কলকাতা হাইকোর্ট যে ২৬৯ জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে তার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চে মানিক ভট্টাচার্যের মামলাটি চলছে। ইডি’র পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ আনেন মানিকের বিরুদ্ধে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়। মানিক ভট্টাচার্যের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া চাকরিপ্রার্থীদের তালিকার প্রসঙ্গ টেনে বেআইনি নিয়োগের অভিযোগও করা হয়। তাই ইডির বিশেষ আদালত মানিক ভট্টাচার্যকে ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানানো হয়।