আজ বিধানসভার অধিবেশনের শুরুতেই রসিক–কবি সুকুমার রায় জায়গা করে নিলেন। সেখানে বাজেট নিয়ে চলছিল আলোচনাপর্ব। শাসক–বিরোধীর তরজার ছবি আগেও দেখেছে বাংলার মানুষ। কিন্তু সুকুমার রায়ের ছড়া দিয়েই টিপ্পনি ছুড়ে দেওয়া হল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। টিপ্পনিটি ছুড়ে দেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তবে তার জবাবও আসে সুকুমার রায়ের ছড়াকে পাল্টা টিপ্পনি হিসাবে ব্যবহার করে। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়ে যায় বিধানসভায়।ঠিক কী ঘটেছে? রাজ্য সরকার বোঝাতে মরিয়া যে এই বাজেট সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাবে। সেখানে বিরোধী শিবির বিজেপি প্রমাণ করতে মরিয়া এই বাজেটে মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এই পরিস্থিতিতে এবার বাজেট অধিবেশনকে আলাদা মাত্রা দিতে হাজির করা হল সুকুমার রায়ের ছড়া। আর বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বাজেট নিয়ে বলতে উঠে শুরুতেই বলেন, ‘হাসছি মোরা, হাসছি দেখো, হাসছি মোদের আহ্লাদি। তিনজনেতে জটলা করে ফোকলা হাসির পাল্লা দিই।’ অর্থাৎ এবারের বাজেট দিশাহীন। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক বলেন, ‘সুকুমার রায় তো ভবিষ্যৎদ্রষ্টা ছিলেন, তাই আগেই এই ছড়াটি লিখে রেখেছিলেন। দিশাহীন বাজেট দেখে সুকুমার রায়ের এই কবিতাটিই মনে পড়ছে। আর হাসি পাচ্ছে। এটা একটা হাস্যকর বাজেট।’এবার পাল্টা জবাবও এল সুকুমার রায়ের ছড়াকে অবলম্বন করেই। আর সেটা একেবারে অধিবেশনের শেষ পর্বে। সেখানে পাল্টা দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তুলে ধরেন, এবারের বাজেট কতটা জনকল্যাণকর। ছড়া আওড়ে তিনি বলেন, ‘রামগড়ুরের ছানা, হাসতে তাদের মানা। হাসির কথা শুনলে বলে হাসব না না না না।’ পার্থবাবুর বক্তব্য, বিজেপি সেই রামগড়ুরের ছানা। যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী বাজেট দেখেও গোমরা মুখে তার কাটাছেঁড়া করছে। আর এই বাজেট অধিবেশন নিয়ে গোটা বিধানসভার অন্দরে হাসির রোলই উঠল।