তেলের সঙ্গে কী জল মিশে যাচ্ছে? এমনই বিস্তর অভিযোগ জমা পড়েছে পরিবহন দফতরে। শহরে বৃষ্টির জল জমে তা পেট্রোল পাম্পে ঢুকে পড়ে। আর তার জেরে তেলের সঙ্গে জল মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং গ্রাহকদের অসুবিধায় পড়তে হয়। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবার পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে কড়া নির্দেশ দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অবিলম্বে আগামী একমাসের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর বা এসওপি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।পেট্রোল পাম্পে জল জমতে দেওয়া যাবে না এবং জল যাতে গ্রাহকদের তেলের সঙ্গে বিক্রি করা না হয় তার জন্যই এই কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। বুধবার রাজ্য পরিবহণ দফতরের তেল কোম্পানি এবং পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠকেই তেল কোম্পানিগুলিকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী একমাসের মধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করতে হবে।এই বৈঠকের বিষয়ে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী জানান, পেট্রোল পাম্পগুলিতে জল জমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ এসেছে। আর সেটা রুখতে সমীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত তেল কোম্পানিকে সেই সমীক্ষা করতে হবে। রাজ্যের সব পেট্রোল পাম্পে এই সমীক্ষা চালানো হবে। পাম্পগুলি লিকেজ ফ্রি আছে কি না সমীক্ষা করে দেখা হবে। এই সমীক্ষা শেষ হলে ইথানল মেশানোর যে নিয়ম রয়েছে তা প্রয়োগ করতে পারবে তেল কোম্পানিগুলি।পেট্রোল পাম্প মালিকরা বৈঠকে জানায়, ইথানল মেশানোর ফলে পেট্রোল পাম্পগুলিতে জল জমছে। অনেক সময় সেই জল গ্রাহকদের গাড়িতে চলে যাচ্ছে তেল ভরতে গিয়ে। তাতে গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাম্প মালিকরাও। তাই অগস্ট মাসে ধর্মঘটের ডাক দেয় পেট্রোল পাম্প মালিকেরা। যদিও ফিরহাদ হাকিমের আশ্বাসে সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন পাম্প মালিকরা।আজকের বৈঠকে তেল দেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্লো মিটারের ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। তেলের পরিমাণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সচেনতা বাড়ানোর জন্য পোস্টার লাগানো হবে রাজ্যের সব পেট্রোল পাম্পে বলেও জানানো হয়েছে। এখন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর জমা পড়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।