সাধারণত দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা সম্পন্ন করেন না। মূলত সেই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা যাতে সম্পন্ন হয় সে কথা মাথায় রেখেই আশা কর্মীদের উৎসাহ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য আশা কর্মীদের ২৫০ টাকা ভাতা দেবে রাজ্য সরকার।
যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসায় তৎপর রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি
গত কয়েক বছরে রাজ্যে টিবি বা যক্ষ্মা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতির মোকাবেলায় ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছে স্বাস্থ্য ভবন। তাতে টিবি রুখতে কী কী করণীয় সে বিষয়ে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আগামী দুবছরের মধ্যে বাংলা থেকে যক্ষ্মাকে নির্মূল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এনিয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। এবার যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসার জন্য আশা কর্মীদের উৎসাহিত করতে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
সাধারণত দেখা যায় অনেক ক্ষেত্রেই যক্ষ্মা রোগীরা চিকিৎসা সম্পন্ন করেন না। মূলত সেই সমস্ত রোগীদের চিকিৎসা যাতে সম্পন্ন হয় সে কথা মাথায় রেখেই আশা কর্মীদের উৎসাহ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। এর জন্য আশা কর্মীদের ২৫০ টাকা ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। প্রতিবছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন কয়েক লক্ষ মানুষ। সেই সমস্ত রোগীদের যক্ষ্মা যাতে নির্মূল করা যায় তার জন্য তাদের চিকিৎসা করা হয় যক্ষা নির্মূলকরণ (ডট) প্রকল্পের আওতায়। সাধারণত তৃণমূল স্তরে আশা কর্মীরা এই সমস্ত যক্ষ্মা রোগের ওষুধ খাইয়ে আসেন। তাই এ বিষয়ে আশা কর্মীদের উৎসাহ করতে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ বছর সময়ের মধ্যে বাংলার ৭০ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যাতে যক্ষা মুক্ত করা যায় সে বিষয়ে জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।আধিকারিকদের মতে, যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়তে গেলে তার জন্য একমাত্র উপায় হল প্রতিটি গ্রামে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তাই ইতিমধ্যেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে যক্ষ্মা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। লক্ষ্য একটাই ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মাকে বাংলা থেকে নির্মূল করা।