সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৩১মে-এর মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিলের পরে এবার নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বদল আনার ভাবনা চিন্তা করছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষায় ওএমআর শিটের কার্বন কপি পরীক্ষার্থীদের হাতে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে, যা বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। যদিও এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে রাজ্য সরকারের অনুমতি পেলে পুরনো নিয়োগবিধি বলে ফেলা হবে বলে এসএসসি সূত্রে জানা যাচ্ছে। দ্রুতই এ বিষয়টি প্রস্তাব আকারে স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠাতে চলেছে এসএসসি।
আরও পড়ুন: চিন্তা কাটল, শিক্ষকরা বেতন পাবেন! ডিসেম্বরের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে, আশায় মমতা
এছাড়াও প্রক্রিয়ায় আরও কিছু বদলের প্রস্তাব রয়েছে। যার মধ্যে উত্তরপত্র প্রকাশ। এসএসসি সূত্রের খবর, ফল প্রকাশের আগেই নির্দিষ্ট উত্তরপত্র প্রকাশ করে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে। তাতে যেমন পরীক্ষার্থীরা নিজেরা কত নম্বর পাবেন? তার আন্দাজ করতে পারবেন তেমনি স্বচ্ছতাও আসবে। এছাড়াও পরীক্ষার পর কাউন্সেলিং পর্বেও কিছু বদলের ভাবনা রয়েছে। এসমস্ত কিছুই এখন আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। এসএসসির চেয়ারম্যান এনিয়ে আঞ্চলিক প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। এনিয়ে বেশ কয়েকটি বৈঠকও হয়েছে। এসএসসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগবিধি প্রস্তুত করে স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সেই প্রস্তাবে রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিলেই তৈরি হয়ে যাবে নতুন নিয়োগবিধি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তার পরেই নিয়োগবিধি বদলের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল এসএসসি। সেই সময় একটি নিয়োগবিধির খসড়া পেশ করে এসএসসির তরফে পাঠানো হয়েছিল শিক্ষা দফতরে। তবে শিক্ষা দফতরে এনিয়ে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আলোচনা চললেও আর এগোয়নি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরেই তা নিয়ে আবার তৎপর হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
উল্লেখ্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের করা মডিফিকেশন অ্যাপ্লিকেশনে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে চাকরিহারা নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা স্কুলে যেতে পারবেন। তবে শিক্ষা কর্মীদের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হবে না। চাকরিহারারা এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশকে ‘বড় স্বস্তি’ বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।