এক একটি পাগলা ঘণ্টি বসানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এর জন্য পুলিশ চাইছে থানার এমন এক জায়গায় পাগলা ঘণ্টি বসাতে যেখানে থানার প্রতিটি জায়গায় এই পাগলা ঘণ্টির আওয়াজ পৌছাতে পারে। সেই মতো থানাগুলিতে সমীক্ষা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
লালাবাজার, কলকাতা পুলিশের সদর দফতর। ফাইল চিত্র
সাধারণত এলাকায় বড় কোনও ঘটনা ঘটলে সে ক্ষেত্রে প্রচুর পুলিশ প্রয়োজন হয়। কিন্তু, পুলিশকে একসঙ্গে জড়ো করতে সময় লাগে। বেহালার পথ দূর্ঘটনার পর যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেক্ষেত্রে চৌরাস্তায় পৌঁছতে সময় লেগেছিল পুলিশের। এ নিয়ে এবার জেলগুলির আদলেই ‘পাগলা ঘণ্টি’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে লালবাজার। মূলত কলকাতার প্রত্যেকটি থানাতে এই পাগলা ঘণ্টি বা সাইরেন বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ফলে পাগলা ঘণ্টির আওয়াজ শুনে তৎপরতার সঙ্গে সতর্ক হতে পারবে পুলিশ।
লালবাজার সুত্রে জানা গিয়েছে, এক একটি পাগলা ঘণ্টি বসানোর জন্য ২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। এর জন্য পুলিশ চাইছে থানার এমন এক জায়গায় পাগলা ঘণ্টি বসাতে যেখানে থানার প্রতিটি জায়গায় এই পাগলা ঘণ্টির আওয়াজ পৌছাতে পারে। সেই মতো থানাগুলিতে সমীক্ষা চালিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত বৈদ্যুতিন তার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এক সঙ্গে কোনও থানার পুলিশ বাহিনীকে জড়ো করতে সময় লেগে যায়। অনেকে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে অনেকেই ফোন করে ডাকতে হয় বা অন্য কাউকে দিয়ে ডেকে পাঠাতে হয়। ফলে সেই ক্ষেত্রে পাগলা ঘণ্টি থাকলে তা বেজে উঠলে থানার পুলিশ বাহিনী একসঙ্গে জড়ো হতে পারবে। ফলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে নির্দেশ এই পাগলা ঘণ্টি বাজানো হবে। এরপর সকলকে থানার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় জড়ো করা হবে। পরে আধিকারিকদের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে রওনা দেবে।