এটা অগস্ট মাস। তাও প্রায় অর্ধেক কেটে গিয়েছে। মাঝে সেপ্টেম্বর মাস কাটলেই পড়বে অক্টোবর। অর্থাৎ মা আসছেন। দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়বে। এই আবহে এখনই খুঁটিপুজো সেরে ফেলেছে পুজো কমিটিগুলি। বিগ বাজেটের পুজোগুলির প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর থেকে হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। তখন থেকে ভিড় মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এবার ভিড় আরও বাড়বে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশ। তাই আগাম ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে লালবাজার।
এদিকে আইনশৃঙ্খলার দিকটিও যেমন দেখতে হবে ঠিক তেমনই যানজট মুক্ত করে শহর সচল রাখতে হবে। তাই জোরদার প্রস্তুতিতে নেমেছে পুলিশ অফিসাররা। পুজোর ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। তাই আগাম প্রস্তুতি নিয়ে সেই মতো কাজ করতে চাইছেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে এগোলে ভিড় সামলে দেওয়া সম্ভব। এই বিষয়টি মাথায় রেখে প্রত্যেকটি লোকাল থানাকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। কেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে? তা নিয়েও একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে লালবাজার। সমস্ত তথ্য আদানপ্রদানের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঠিক কী নির্দেশ পাঠানো হয়েছে? লালবাজার যে নির্দেশিকা থানাগুলিকে পাঠিয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা বন্ধ রাখতে হবে। তার সঙ্গে দর্শনার্থীদের জন্য ড্রপ গেট রাখতে হবে। লোকাল থানা এলাকায় যেসব দুর্গাপুজো মণ্ডপে ভিড় হয় তা সামলানোর পরিকল্পনা জানাতে বলা হয়েছে। অগস্ট মাসের মধ্যেই থানা এলাকাভিত্তিক রিপোর্ট লালবাজারে জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর লালবাজার জানিয়ে দেবে আর কোথায় কী করতে হবে। লোকাল থানাগুলির কাছে ভিড় সামলানো–সহ নিরাপত্তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: যাদবপুর থেকে শিক্ষা নিল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, র্যাগিং ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ
আর কী জানা যাচ্ছে? লোকাল থানার রিপোর্ট পেলেই তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত আবার থানাগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হবে। বড় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকী পুজো কমিটিগুলির থিম পর্যন্ত জেনে সেটা রিপোর্টে জানাতে হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এগুলির পর জোর দেওয়া হবে ট্রাফিক ব্যবস্থার উপর। যাতে ভিড় সামলে শহরকে সচল রাখা যায়। ইতিমধ্যেই আলো এবং রাস্তাঘাট নিয়ে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। তারপরই লোকাল থানাগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর।