আরজি কর কাণ্ডের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন দু'টি মামলায়। সেই সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে সেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তবে মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ট্যাটাস রিপোর্টে এতদিন দেখা যাচ্ছিল সন্দীপের নামে পাশে লেখা রয়েছে 'সাসপেন্ডেড'। তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম দাবি করল, মঙ্গলবার সন্ধে থেকে সন্দীপের নামের পাশ থেকে উধাও 'সাসপেন্ডেড'। বরং পাশে লেখা 'রেজিস্টার্ড'। এই গোটা বিতর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, 'এই মেডিক্যাল কাউন্সিল অবৈধ। দুষ্কৃতীদের আখড়ায় পরিণত রয়েছে। যাঁদের নাম উঠে আসছে তিলোত্তমার ঘটনায় তাঁরাই এই কাউন্সিল চালায়। তাই তাঁদের কাছে থেকে আমরা আশা করি না।' (আরও পড়ুন: সেদিন ভোররাতে আরজি করে এসেছিলেন সন্দীপ ঘোষ, বলছে মোবাইল লোকেশন: রিপোর্ট)
আরও পড়ুন: 'ভিডিয়ো দেখে মনে হচ্ছে...', আরজি কর কাণ্ডে এবার ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্নের বন্যা
আরও পড়ুন: বিকাশের বদলে RG কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের হয়ে লড়বেন বৃন্দা, জানেন তিনি কে?
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল অবৈধ। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এই আবহে ডাক্তার মহলে তৈরি হয়েছে ধন্দ। অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে যদি সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়, পরে সেই রেজিস্ট্রেশন ফেরত পেয়ে যেতে পারেন সন্দীপ। দাবি করা হয়, ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী। এরপর ৬ মাসের জন্যে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে তারপর আর সেই মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এই আবহে তিনি সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলে তা কীভাবে বৈধ? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। (আরও পড়ুন: কৃষি বিল ফেরানোর দাবি তুলে বিপাকে কঙ্গনা,'এক্তিয়ার নেই…', বলল BJP,মাথানত সাংসদের)
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে ডিভিসির সদর দফতর সরলেও কিছু যায় আসে না: মমতা
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। তারপর আর এই বৈঠক বসেনি। তবে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে গেলে কাউন্সিলের সদস্যদের বৈঠক ডেকে সেই সিদ্ধান্ত দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ করানো নিয়ম। এদিকে কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের মৌখিক নির্দেশে রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এই আবহে চাপের মুখে নিয়ম না মেনে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। দাবি করা হচ্ছে, এই ভাবে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করায় পরবর্তীতে সন্দীপ ঘোষ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অনায়াসে নিজের রেজিস্ট্রেশন ফেরত পেতে পারেন। এদিকে এই সবের মাঝেই মেডিক্যাল কাউন্সিলের স্ট্যাটাস রিপোর্টে সন্দীপের নামের পাশে 'রেজিস্টার্ড' লেখা ঘিরে বিতর্ক।