বাইরন বিশ্বাস আজই প্রথম বিধানসভায় পা রাখলেন। তাঁকে সঙ্গে করে বিধানসভায় এসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক অসিত মিত্র এবং নেপাল মাহাত। স্বাধীনতার পর প্রথম, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাম–কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়েছিল। বাইরনের জয়ের পর পাঁচবছর কংগ্রেস শূন্য থাকছে না বিধানসভায়।
বিধানসভায় এলেন বাইরন বিশ্বাস।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার পর আজ, শনিবার প্রথম বিধানসভায় এলেন বাইরন বিশ্বাস। বাম–কংগ্রেস জোটের জয়ী প্রতিনিধি হিসাবে বিধানসভায় এসে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে কিছুক্ষণ আলোচনার পর তিনি বেরিয়ে আসেন। সাগরদিঘিতে তৃণমূল কংগ্রেসের নৌকা ডুবিয়েছেন বাইরন বিশ্বাস। তবে আবার তিনিই এখন শিবরাত্রির সলতের মতো বিধানসভায় কংগ্রেস বিধায়ক বলতেও একমাত্র সদস্য।
শপথ নিয়ে কী বললেন বাইরন? এদিন এসে তিনি অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি আগে দেখা করেন। তারপর বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আজকে প্রথমবার বিধানসভায় এলাম। আমার সঙ্গে স্পিকারের কথা হলো। উনি বললেন আমার শপথের ব্যাপারে রাজভবন থেকে কোন মেসেজ বা চিঠি আসেনি। আসলে আমাকে জানাবেন। খুব ভাল অনুভূতি। খুব ভাল লাগছে আমার। আমি যেসব প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলাম জনসাধারণকে সেই সব প্রতিশ্রুতির দাবি রাখব বিধানসভায়। সব কাজই হবে। আশা করি, আমাকে কাজ করতে সাপোর্ট করবে সরকার।’
বিধানসভায় তো আপনি একা। পারবেন তো? জবাবে বাম–কংগ্রেসের জোটের প্রতিনিধি বলেন, ‘আজকে হয়তো আমি একা। সংখ্যাটা খুব তাড়াতাড়ি ১০০ হবে।’ কেমন করে হবে? বিধায়ক কিনে? উত্তরে সাগরদিঘির বিধায়ক বলেন, ‘কিনব কেন? মানুষ পরিবর্তন চাইছে, কংগ্রেসকে চাইছে। স্বচ্ছ ভোট হলে অনেক আসন আমাদের বাড়বে।’ সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জেতার পর বাইরন বলেছিলেন, ‘তৃণমূল আমায় কিনতে পারবে না। আমি তৃণমূলকে কিনে নেব।’