হাতে আর বেশি সময় নেই। আর পাঁচদিন পরই রাজ্যজুড়ে শুরু হয়ে যাবে দুর্গাপুজো। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যে সাজ সাজ রব। শহর থেকে গ্রামবাংলা দুর্গাপুজোর প্রস্তুতিতে চূড়ান্ত ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুজো উদ্বোধন করে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুজো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে আজ শুক্রবার মেট্রো চ্যানেলে অবস্থানে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রশাসন দাবি না মানলে অনশনে পর্যন্ত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলা চত্বরে মঞ্চ বাঁধা নিয়ে পুলিশ–জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। ওই আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ। তখনই ধর্মতলার মোড়ে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল। তারপর কর্মবিরতি উঠে যায়। কিন্তু সাগর দত্ত হাসপাতালে নার্স ও জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের ঘটনার পর সেই প্রতিবাদের পারদ চড়ে নতুন করে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, সরকার নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে কোনই বদল ঘটেনি। তাই পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিয়ত চাপ এবং জিবি বৈঠকের পর কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ততক্ষণে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায় কলকাতায়।
আরও পড়ুন: ‘আমি দশ বছর ধরে লড়াই করছি’, বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি নিয়ে দাবি মমতার
অন্যদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে সরকারকে বেঁধে দিলেন তাঁরা সময়সীমাও। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হলে অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতার কর্মসূচি চালানোর কথাও ঘোষণা করেন তাঁরা। আজ, শুক্রবার রাত ৮টার পর ডাক্তারদের পক্ষ থেকে বিষয়টি ঘোষণা করা হয়। তার আগে ধর্মতলা মোড়ে বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার ফলে অবরূদ্ধ হয়ে যায় মধ্য কলকাতার একাংশ। ভোগান্তির শিকার হন পথচলতি মানুষরা। তবে অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
এছাড়া মহালয়ার পর শুক্রবার আবার নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে পথে নামে তাঁরা। এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে মঞ্চ বাঁধার জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম এবং ছোট ম্যাটাডোর আসে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সেই মঞ্চ বাঁধতে বাধা দেয়। জুনিয়র ডাক্তারদের টেনে হিঁচড়ে সরানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যানজটের জেরে আটকে যায় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি। অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হল।