আজ মহাসপ্তমী। এই উপলক্ষ্যে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে মানুষজন। গোটা রাজ্যে এখন উৎসবের আমেজ। রাস্তায় ঢল নেমেছে মানুষজনের। এখন এই উৎসবের মধ্যেই চলছে আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং আমরণ অনশন। ইতিমধ্যেই খবর পাওয়া যাচ্ছে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিডনি ও লিভারে প্রভাব পড়েছে। আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী এই দাবি করেছেন। অনিকেতের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স, আইসিইউ। কিন্তু তিনি হাসপাতালে যেতে চাইছেন না বলে জানা যাচ্ছে।
আজ, মহাসপ্তমীর দিন অন্যান্য চিকিৎসকরাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। টানা অনশনের জেরেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন সাতজন অনশন চালাচ্ছেন। ১০০ ঘণ্টা ছাড়িয়ে গিয়েছে। জুনিয়রদের পাশে আছেন সিনিয়ররাও। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা সকাল থেকে ধর্মতলায় জুনিয়রদের সঙ্গেই প্রতীকী অনশনে বসেছেন। ১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকবেন তাঁরা। মহাষষ্ঠীর রাতে স্বাস্থ্যভবনের বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। তাই মহাসপ্তমীর সকাল থেকেই ধর্মতলার অনশন মঞ্চ সরগরম।
আরও পড়ুন: ‘অপরাধ করলে যথাযথ শাস্তি হোক’, থ্রেট কালচার নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন কুণাল
আজও ধর্মতলায় ১০ দফা দাবি নিয়ে অনশন–বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিও আন্দোলনকারীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহে পুলিশের চিঠি পৌঁছে গিয়েছে অনশনকারীদের হাতে। সেই চিঠি হাতে পেয়ে ডাক্তাররা বলেন, ‘আমাদের হাতে পুলিশ একটি চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, আমরা অনুমতি ছাড়া মঞ্চে বসে আছি। আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে হবে। এই জায়গা ছেড়ে দিতে বলা হচ্ছে। এটা আমরা ভালভাবে নিচ্ছি না। ওদের কোনও উদ্বেগ নেই।’ ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তোলার জন্য অনুরোধ করেছেন সিনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। বুধবার রাতে অনশন মঞ্চে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং অপর্ণা সেন।
হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তারদের বলা হয়েছে, ‘আপনারা গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন করছেন। তাও জোর করে। প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই। আপনাদের সামনে যে বোর্ড রাখা হয়েছে সেটা থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, আপনাদের শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। বুধবার আমরা অনুরোধ করেছিলাম, কলকাতা পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সের সাহায্য নিতে। আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে অনুরোধ করেছি, আপনাদের জন্য চিকিৎসক মোতায়েন করার জন্য। আমাদের অনুরোধ, আপনারা এই জায়গা ছাড়ুন। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।’