কর্তব্যপথে চলেছে রমমন্দিরের (উত্তরপ্রদেশের) ট্যাবলো। আর সেখানে কলকাতার রেড রোডের প্যারেডের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলকাতায় 'একতাই সম্প্রীতি'র ট্যাবলো দেখা গেল। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে এই ট্যাবলোটি প্রস্তুত করা হয়েছিল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেড রোডের ট্যাবলো
প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির কর্তব্যপথে চলেছে রমমন্দিরের (উত্তরপ্রদেশের) ট্যাবলো। আর সেখানে কলকাতার রেড রোডের প্যারেডের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ কলকাতায় 'একতাই সম্প্রীতি'র ট্যাবলো দেখা গেল। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে এই ট্যাবলোটি প্রস্তুত করা হয়েছিল। সেই ট্যাবলোতে ছিল বহু ধর্মের প্রতীকে। সেই ট্যাবলোর ছবিতে ছিল দক্ষিণশ্বরের মন্দির, নাখোদা মসজিদ ও গির্জার ছবি। সেই ট্যাবলোর নীচের দিকে লেখা ছিল 'একতা বৃক্ষ'। (আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে ট্যাঙ্ক থেকে ‘রামমন্দির’, নীরজ চোপড়ার রেজিমেন্ট, দেখুন ছবি)
উল্লেখ্য, এর আগে রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনে কলকাতায় সম্প্রীতি মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক ধর্মগুরুরকে সঙ্গে নিয়ে সেদিন হেঁটেছিলেন মমতা। আর আজ দিল্লির কর্তব্যপথে যেখানে উত্তরপ্রদেশের ট্যাবলো জুড়ে ছিল রাম। সেখানে রেড রোডের ট্যাবলোতে দেখা গেল সম্প্রীতির বার্তা। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফে এই ট্যাবলো প্রস্তুত করা হয়। এই দফতরের দায়িত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজেই।
উল্লেখ্য, আজ সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ রেড রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আজকে জাতীয় পতাকা উন্মোচন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। আজকে রেড রোডে রাজ্য সরকারের অনেক প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল। পথশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো জনমুখী প্রকল্পের ট্যাবলো ছিল আজকের প্যারেডে। এদিকে কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তারাও কুচকাওয়াজে হাঁটেন আজ। (আরও পড়ুন: চিঠি-ইমেলের পর মমতাকে ফোন খাড়গের, তৃণমূল নেত্রীকে কী বললেন কংগ্রেস সভাপতি?)
এদিকে সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে রাজ্যবাসীকে সংবিধানের গুরুত্ব স্মরণ করান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, 'সংবিধান নিছক আইনজীবীর নথি নয়, এটি জীবনের চালিকাশক্তি। আজ যখন আমরা প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছি, তখন আসুন আমরা আমাদের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের সংবিধানের মূল্যবোধ রক্ষা করার শপথ নিই। যাই হোক না কেন, আমাদের কণ্ঠস্বর সর্বদা সমতা, স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের আদর্শকে প্রতিধ্বনিত করবে!'