অরুণাভ রাহারায়: এবার যেন অকাল বইমেলা। ছোট্ট মারণ ভাইরাস আরও অনেক কিছুর মতোই প্রভাব ফেলেছে বইমেলায়। দু'বছর বাদে 'বাঙালির প্রাণ' বইমেলার আয়োজন করতে পেরেছে গিল্ড। তবে স্বাভাবিক সময়ের থেকে এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে বইমেলা। তাই বদল এসেছে আবহাওয়ায়। মার্চের শুরু থেকেই দিনের বেলা পারদ চড়ছে। আর তাতেই যেন নাজেহাল পাঠক। দুপুরের রোদে ভিড় থাকছে কম। অনেক স্টলে ইতিমধ্যেই সিলিং ফ্যান লাগানো হয়েছে। সারাটা দুপুর জুড়ে হাঁসফাঁস গরম।পাশে দিঘি থাকায় সন্ধে নামার আগেই ফুরফুরে হাওয়া। আর সেই হাওয়া খেয়েই বই কিনতে ভালবাসছেন পাঠক। ফলে বিকেল হতে না-হতেই ভিড় জমছে বইমেলায়। আদম প্রকাশনার কর্ণধার গৌতম মণ্ডল বলেন, "দু'বছর বাদে বইমেলা তাই স্বাভাবিক ভাবেই পাঠকের আনাগোনা বেশি। তবে যা আশা করেছিলাম তার থেকে বিক্রি কম।" অনেকেই মনে করছেন, পাঠকের আনাগোনা কম হওয়ার প্রধান কারণ দুপুরের চড়া রোদ।তবে অনেকদিন পর বইমেলায় যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন এবার থেকে সেন্ট্রাল পার্কের নাম বইমেলা প্রাঙ্গণ। ইতিমধ্যেই এই নাম দিয়ে ফ্লেক্স টাঙানো হয়েছে বইমেলায়। অতএব সাইন্স সিটির উল্টোদিকে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে আর ফিরে যাবে না বইমেলা। অন্যদিকে বহুবার ঠাঁইনাড়া হাওয়ার পর বইমেলার জন্য স্থায়ী জায়গা ঘোষণা হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন গিল্ডের কর্তারা।অন্যদিকে, এবারের লিটল ম্যাগাজিন প্যাভেলিয়ান নিয়ে অসন্তুষ্ট অনেকেই। প্রতিবারের মতো একত্রে নয় এবার লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিজিয়ান ভাগ করা হয়েছে তিন ভাগে। গিল্ডের এই পদক্ষেপ মেনে নিতে পারেনি ছোট পত্রিকার সম্পাদকদের একাংশ। গিল্ড কর্তা সুধাংশুশেখর দে এ ব্যাপারে বলেন, "কোভিড প্রটোকল মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীবার আগেই মতোই এক ছাদের নীচে থাকবে সমস্ত লিটল ম্যাগাজিন।"