একেবারে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে অন্তত ৯জনকে। রামপুরহাটকাণ্ডের ভয়াবহতাকে ঘিরে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। কিন্তু বাংলায় এতবড় নৃশংস ঘটনা হয়ে গেল অথচ বিদ্বজনেরা কোথায় গেলেন? কেন তাঁদের সেভাবে দেখা যাচ্ছে না? সকলেই কি শীতঘুমে? এমন নানা প্রশ্ন উঠছিল বাংলাজুড়ে। তবে শুক্রবার প্রেসিডেন্সি ইউনার্ভিসিটির গেটে দেখা গেল বুদ্ধিজীবীদের কয়েকজনকে। শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের তরফে এদিন প্রতিবাদ অবস্থানের ডাক দেওয়া হয়। ব্যানারে লেখা ছিল, আমতা, পানিহাটি,ঝালদা, বগটুইকাণ্ডের বিচার চাই। এদিনের পথ সভায় পল্লব কীর্তনীয়া, মীরাতুন নায়ার, সুজাত ভদ্র, বিভাস চক্রবর্তী প্রমুখ শামিল হয়েছিলেন। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নিয়ে যাঁদের প্রতিবাদের আওয়াজে ভরসা খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলার আমজনতা, সেই বিদ্বজনেরা কোথায় গেলেন? কেন তাঁদের আর দেখা যাচ্ছে না? তবে যে কয়েকজন ছিলেন তাঁরাই এদিন একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় কার্যত হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী বলেন, 'কারা নামবেন আর কারা নামবেন না সেটা তাঁদের ব্যাপার। তাছাড়া আমি অমুক সালে নেমেছিলাম, এবারও নামতে হবে এমন দাসখত কেউ লিখে দেয়নি। আমার মন বলছে নামতে, সেকারণেই নামছি। বাধা ধরা একটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে যারা ভাবছে, দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে যারা ভাবছে তাদের কাছে এটা একেবারেই ভালো পদক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে না। তবে সিবিআই মন্দের ভালো।'