ঋত্বিক গুপ্ত বাগুইআটির বিদ্যাসাগর পল্লীতে থাকতেন। তিনি সল্টলেকে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। বিদ্যাসাগর পল্লী থেকে কিছুটা দূরে রবীন্দ্রপল্লীর বাহাদুর বাগানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবক দুই তরুণীর যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তখন ওই যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। ওই যুবককে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে জামিন পেয়ে ঘরে ফিরতেই ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই মারধরের পালটা অভিযোগ তুলেছেন যুবকের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের দাবি, পুলিশের মারধরের কারণে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ওই যুবক। এর পাশাপাশি সামাজিক অসম্মান হয়। এই দুটি কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। মৃত যুবকের নাম ঋত্বিক গুপ্ত (২৩)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋত্বিক গুপ্ত বাগুইআটির বিদ্যাসাগর পল্লীতে থাকতেন। তিনি সল্টলেকে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করতেন। বিদ্যাসাগর পল্লী থেকে কিছুটা দূরে রবীন্দ্রপল্লীর বাহাদুর বাগানের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবক দুই তরুণীর যৌন হেনস্থা করে বলে অভিযোগ। তখন ওই যুবককে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। তাঁদের চাপেই ওই যুবক যৌন হেনস্থার কথা স্বীকার করে নেন। এরপর তরুণীর পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে শুক্রবার ওই যুবক বারাসাত আদালত থেকে জামিন পান। এক আধিকারিক জানিয়েছেন এই যুবককে পুলিশের তরফের মারধর করা হয়েছে এমন কোনও অভিযোগ পরিবারের তরফে করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য পুলিশকে দায়ী করেছেন স্থানীয়দের একাংশ। স্থানীয়দের বক্তব্য, ‘পুলিশের মারের ফলে ঋত্বিকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত যুবকের দাদা আকাশগুপ্ত জানান, ঋত্বিকের শরীরে একাধিক দাগ রয়েছে। সেগুলি মারধরে আঘাতের ফলে তৈরি হয়েছে। জামিন পেয়ে বাড়ি আসার পর থেকেই ছটফট করছিলেন ঋত্বিক। সে মারধরের কথা মা আমাদের জানিয়েছিল। আমরা সবাই রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপরও ঘর থেকে আওয়াজ পাওয়ার পর আমরা সেখানে গিয়ে দেখি ঋত্বিকের দেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।’