নবান্ন অভিযানে যে তাণ্ডব হয়েছিল তা দেখেছেন বাংলার মানুষ। ওই দিন ছাত্রসমাজের নেতা সংবাদমাধ্যমের টক–শো শেষ করে বেরতেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। পুলিশের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলা হলেও অশান্তিতে উসকানি দেন ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজে’র অন্যতম আহ্বায়ক সায়ন লাহিড়ী। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় জামিন দিয়ে দেয় সায়নকে। সায়ন লাহিড়ীকে জামিন দিতেই আজ, শনিবার সায়ন মুক্তি পেলেন। তবে তাঁর জামিনের বিরোধিতায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে তাঁকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আদালতের নির্দেশে মুক্তি পেয়েছেন সায়ন। তারই মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার। সুতরাং জামিনে আপাতত মুক্তি পেলেও স্বস্তি মিলছে না এখনই। গত ২৭ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সুবিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজ’। সেটা শান্তিপূর্ণ হওয়ার কথা বলেছিলেন সায়ন। কিন্তু দেখা গেল, তাণ্ডবের পাশাপাশি পুলিশের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনা হয়েছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়া এই মিছিলেন ডাক দেন সায়ন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক দিবসেই লক্ষাধিক পড়ুয়া পাবে রাজ্য সরকারের টাকা, মোবাইল–ট্যাব কিনতে পারবে
অন্যদিকে তারপর তুমুল অশান্তি শুরু হয় রাজপথে। সায়নের গ্রেফতার নিয়ে যুক্তি দিয়ে ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্বও তুলে ধরেন রাজ্যের আইনজীবী। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহার বক্তব্য ছিল, সায়ন কোনও রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত কি না। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, তিনি ছাত্রনেতা। তা শুনে বিচারপতি আবার প্রশ্ন করেন, সেক্ষেত্রে সায়নকে কেমন করে ‘প্রভাবশালী’ বলা হচ্ছে? বিচারপতি বলেন, ‘ওই ছাত্রনেতাকে কী ভাবে প্রভাবশালী বলা হচ্ছে? তিনি কি এতই জনপ্রিয় যে, ডাক দিলেন আর হাজার হাজার লোক জড়ো হয়ে গেল? তাঁর কী অতীত আছে? সায়ন কি সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন?’