পিএম পোষণ (মিড ডে মিল) প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ–সহ সমস্ত রাজ্যের জন্য ২ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করল কেন্দ্রীয় সরকার। মিড–ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তখনই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসে কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনা মিশন। এই প্রকল্পের পোশাকি নাম, পিএম পোষণ। কিন্তু কেন্দ্র যেমন প্রশ্ন সহকারে রিপোর্ট চেয়েছিল তার জবাব দিয়েছিল রাজ্য। এমনকী বৈঠকে বসে সমস্ত তথ্য তুলে ধরা হয়। আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারীর তোলা অভিযোগ কার্যত খারিজ করে দিয়ে দু’হাজার কোটি বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু টুইট করেন। রাজ্যে মিড–ডে মিলের ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি টুইটে জানান, এদিন বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে পিএম পোষণ প্রকল্পের ‘প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ড’ বৈঠকে বসে। এই রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতর একটি প্রেজেন্টেশন পেশ করে। কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসাররা বিভিন্ন রাজ্যের উপস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কারও নাম না নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন। এই রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করে কেন্দ্র। তারপরই ২০২৩–২৪ অর্থবর্ষে ২০০০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা ঘোষণা করা হয় বলে জানান ব্রাত্য বসু।
ঠিক কী লিখেছেন শিক্ষামন্ত্রী? মিড–ডে মিল নিয়ে নানা অভিযোগ বিরোধীরা তুলেছে। মিড–ডে মিলে ‘দুর্নীতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের দেওয়া রিপোর্টে মিড–ডে মিলে ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির উল্লেখ করা হয়। যদিও সেই রিপোর্টে সইও ছিল না রাজ্যের প্রতিনিধির। যার জেরে প্রকল্পের টাকা আটকেও দেওয়া হয়। আর তারপরই এই ঘটনা ঘটলে টুইটে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘কেন্দ্রের অর্থ অনুমোদন থেকে পরিষ্কার হল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের মিড–ডে মিল নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে।’ অর্থাৎ নাম না করে তির ছুঁড়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তিনিই শিশুদের মুখের খাবার কেড়ে নিতে চেয়েছিলেন এই ঘটনা থেকে তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।